করোনায় চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন ৩১৮ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। আরোগ্যলাভ করেন ৫৮৯ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল সোমবার এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর সরকারি-বেসরকারি নয় ল্যাবে চট্টগ্রামের ২ হাজার ১৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ৩১৮ জনের মধ্যে শহরের ২০২ এবং ১২ উপজেলার ১১৬ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৯৭ হাজার ৬৭০ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭১ হাজার ৩২৫ জন ও গ্রামের ২৬ হাজার ৩৪৫ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ১১৬ জনের মধ্যে রাউজানে সর্বোচ্চ ৩৪, হাটহাজারীতে ২৩, সীতাকু-ে ১১, সাতকানিয়ায় ৮, ফটিকছড়ি, পটিয়া ও চন্দনাইশে ৭ জন, লোহাগাড়ায় ৬, বোয়ালখালীতে ৫, বাঁশখালী ও আনোয়ারায় ৩ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়ায় ২ জন রয়েছেন।
করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শহর ও গ্রামের ৫ জনের মৃত্যু হয়। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ১৯৩ জন। এর মধ্যে ৬৭৫ জন শহরের ও ৫১৮ জন গ্রামের। সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ৫৮৯ জনকে। এতে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৬৬ হাজার ৫৬৪ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯ হাজার ৩৭৩ জন ও বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৫৭ হাজার ১৯১ জন। হোম আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে নতুন করে যুক্ত হন ২৬৬ জন । বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩ হাজার ৪০১ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৫৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে শহরের ৪১ ও গ্রামের ৩০ জন ভাইরাসবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৯ জনসহ ৪০ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৬৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩২ ও গ্রামের ২৫টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২৬ ও গ্রামের ৩০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ১৪৪ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ৮ ও গ্রামের ৯ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। নগরীর বিশেষায়িত কভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৮টি নমুনা পরীক্ষা হলে শহরের ২টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে।
বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩২৯টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৭ ও গ্রামের ৫টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৭১ নমুনার মধ্যে শহরের ১৫টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৯টি নমুনায় গ্রামের ২টিসহ ৯টি, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৭ নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহর ও গ্রামের একটি করে এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ৬৯ নমুনায় শহরের ২২ ও গ্রামের ৫টিতে করোনার জীবাণুর প্রমাণ মিলে।
চট্টগ্রামের ১৩টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, চমেকে ৮ দশমিক ৪৯, সিভাসু’তে ২১ দশমিক ১৯, চবিতে ৩৫ শতাংশ, এন্টিজেন টেস্টে ১১ দশমিক ৮০, আরটিআরএলে ২৫, শেভরনে ৬ দশমিক ৬৮, ইম্পেরিয়ালে ২১ দশমিক ১২, মা ও শিশুতে ৩১ দশমিক ০৩, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১১ দশমিক ৭৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৯ দশমিক ১৩ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।