করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকায় অর্থনীতি সচল আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় দেশের অর্থনীতি পরিস্থিতি ভাল রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার রাতে মানিকগঞ্জ শহীদ মিরাজ তপন স্টেডিয়ামে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা ও কৃতী খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস পৃথিবীকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। যে সকল দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ হয়নি, সেসকল দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সেই দেশের উন্নয়ন থেমে গেছে, জীবনযাত্রা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় আমাদের দেশের অর্থনীতি পরিস্থিতি ভালো আছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সূচক ৫ শতাংশ বেশি আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলেছে করোনায় অনেক দেশের প্রায় ২০০ কোটি মানুষ আগামী বছরে খাদ্য সংকটে পড়ে যাবে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশে খাদ্যের কোনো সমস্যা হবে না।’

ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক এম এম ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো, যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে ক্রীড়া সংস্থার নবনির্বাচিত সদস্যদের পরিচিতির পর বাংলাদেশ যুব গেমস ও বঙ্গবন্ধু ৩৬তম জাতীয় জুনিয়র এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত জেলার ৬ নারী এ্যাথলেটকে ক্রেস্ট ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে শনিবার পর্যন্ত দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ২৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬০ জনে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৫ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ এবং নারী ৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১০.৩০ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬.৩১ শতাংশ। মোট মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯৮৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৬০১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমকি ২০ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন লাখ অতিক্রম করে গত ২৬ আগস্ট এবং মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে যায় ৪ নভেম্বর।