খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, করোনা মোকাবিলা প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় সফলতা। শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব আর সঠিক পরামর্শের কারণে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে দ্রুততম সময়ে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।
রোববার নওগাঁর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ অনুদান ও করোনাকালীন আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক ধনী রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষকে টাকার বিনিময়ে করোনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হয়েছে। কিন্তু এ দেশের প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতার কারণে আপামর জনগণ বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন পেয়েছেন। এক কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সরকার করোনা মোকাবিলায় অত্যন্ত সফলতা অর্জন করেছে। বর্তমানে দেশে করোনা নেই বললেই চলে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিক, প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতায় তা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে বাংলাদেশের এমন কোনো সেক্টর নেই যে সরকারের সহযোগিতা পায়নি। এরই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। কেবল করোনাকালীন নয়, সাংবাদিকদের অসুস্থতাজনিত আর্থিক সহযোগিতাও অব্যাহত রেখেছেন। সাংবাদিকদের প্রতি বর্তমান সরকারের মতো আর কোনো সরকারের সুনজর ছিল না।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, করোনা শুরুর প্রাক্কালে একটি মহল উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিল, এই পরিস্থিতিতে কমপক্ষে ২ লাখ মানুষ অনাহারে মারা যাবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা আর মানবিকতার কারণে দেশে একটি মানুষও অনাহারে মারা যায়নি। যে সময় ঐ মহল যখন এমন আশঙ্কা করেছিল তখন দেশে ১৮ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত ছিল।
এ সময় সাংবাদিকতার আদর্শ মেনে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. কায়েস উদ্দিন এবং চেকপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের মধ্যে মীর মোশারফ হোসেন জুয়েল ও মো. ওবায়দুল হক বক্তব্য রাখেন।
চেক বিতরণের দ্বিতীয় পর্যায়ের এ অনুষ্ঠানে জেলার ১৯ জন সাংবাদিককে ১০ হাজার টাকা করে এবং একজন সাংবাদিককে ১ লাখ টাকাসহ মোট ২ লাখ ৯০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। খবর-ডেইলি বাংলাদেশ
আজকের বাজার/আখনূর রহমান
