করোনা সংকটে অস্ট্রেলিয়ায় আত্মহত্যা বাড়ার আশংকা

করোনা সংকটের কারণে অর্থনৈতিক ও মানসিক চাপের ফলে অষ্ট্রেলিয়ায় হাজার হাজার লোক স্বেচ্ছা মৃত্যুর পথ বেছে নিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশংকা প্রকাশ করেছেন। আর আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাকেও ছাপিয়ে যাবে বলে তারা সতর্ককরেছেন।

সিডনি ইউনিভার্সিটির ব্রেইন এন্ড মাইন্ড সেন্টার বৃহস্পতিবার বলেছে, মহামারী করোনা এবং একে মোকাবেলায় নেয়া পদক্ষেপের প্রভাবে আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত অতিরিক্ত ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৫০০টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। দেশটিতে সাধারণত প্রতিবছর তিন হাজারেরও বেশি লোক আত্মহত্যা করে থাকে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তা ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়ে যাবে।

অস্ট্রেলিয়ান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ব্রেইন এন্ড মাইন্ড সেন্টারের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্কুলসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে তরুণরা। তাদের কারণেই আত্মহত্যা ৩০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে।
তারা বলছে, এই তরুণরাই মানসিক, আর্থিক ও গৃহ চাপের কারণে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

বিশ্বে যে ক’টি দেশ সফলভাবে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে পেরেছে অষ্ট্রেলিয়া তার একটি। আড়াইকোটি জনসংখ্যার দেশটিতে সাত হাজারেরও কম লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে এক’শ জন।

কিন্ত করোনা মোকাবেলায় সরকার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, জনসমাগম বন্ধ ও খুচরা ব্যবসার ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরণের কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এর তীব্র প্রভাব পড়েছে অর্থনীতির ওপর। লাখ লাখ লোক কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

এই রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেছেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধ প্রচেষ্টাসহ মানসিক স্বাস্থ্য খাতে সরকার অতিরিক্ত ৫০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার বিনিয়োগ করছে।

এদিকে সরকার শুক্রবার কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ঘোষণা দিতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
তবে সতর্ক করে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে আরো অনেক মাস লাগবে।