কর্ণফুলীর পাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পাড় অবৈধ দখলমুক্ত করতে সেখানে শুরু হয়েছে উচ্ছেদ অভিযান।

সোমবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীরর সদরঘাট থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পতেঙ্গা ভূমি সহকারী কমিশনার তাহমিলুর রহমানের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযানে নদীর উত্তর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে প্রশাসন।

ইতিমধ্যে অভিযানকারী দল বুলডোজার দিয়ে অসংখ্য স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে। তবে অভিযানের আগেই নদীর দুই পাড়ের অবৈধ কাঁচা, সেমিপাকা, পাকা স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট দখলদাররা।

ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান বলেন, কর্ণফুলীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান ফলপ্রসূ করতে আমরা কিছু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেছি। চাক্তাই থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত কর্ণফুলীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানকে তিন জোনে ভাগ করা হয়েছে। মোট ২১৮৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। প্রথম ধাপে আজ থেকে সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত দুইশ’ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অপর দু’টি জোনে উচ্ছেদ অভিযান চলবে।

তিনি আরও বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে র‍্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য অংশ নিচ্ছেন।

অবৈধ স্থাপনা ভাঙার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) বুলডোজার, স্ক্যাভেটার, পে-লোডার, ট্রাকসহ সরঞ্জাম দিয়েছে। ১০০ শ্রমিক উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ স্থাপনা ভাঙার কাজ করছে।

উল্লেখ্য ২০১০ সালে কর্ণফুলী নদীর গতিপথ স্বাভাবিক রাখতে নদীর সীমানা নির্ধারণ, দখল, ভরাট ও নদীতে যেকোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ১৮ জুলাই কর্ণফুলী নদীর প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

জানা গেছে, অর্থ সঙ্কটসহ নানা জটিলতায় এতদিন উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বরাদ্দ প্রাপ্তির পর এ উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, হাই কোর্টের রায় অনুযায়ী এ অভিযান চালানো হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত না সব স্থাপনা উচ্ছেদ হবে ততদিন অভিযান চলবে। সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত ২০০ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এতে ১০ একর জমি উদ্ধার হবে।

অভিযানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, বন্দর কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর, পিডিবি, বিআইডব্লিউটিএ, ভূমি অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার প্রতিনিধি সহযোগিতা করছেন। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ