কাতারে খাদ্য মজুদের হিড়িক

প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ সম্পর্ক ছিন্নের পরে খাদ্য সামগ্রী মজুদ করা শুরু করেছে কাতারের নাগরিকরা। সোমবার থেকে স্বাভাবিক প্রয়োজনের বেশি খাদ্য সামগ্রি কিনতে দেশটির নাগরিকরা সুপারশপ ও মুদি দোকানগুলোতে ভিড় জমাতে শুরু করে।

রাশিয়ান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবারই প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণার পর পরই কাতারের নাগরিকরা সুপারশপ ও খাদ্য সামগ্রি বিক্রির দোকানগুলোতে ভিড় করতে শুরু করে। সেখানে দেখা যায় ক্রেতারা দুধ, ডিম, চাল,পানি ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বেশি ক্রয় করছেন।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শীর্ষ ধনী দেশ কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে প্রতিবেশি কয়েকটি দেশ। গতকাল সোমবার থেকে কয়েক দফায় কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে সৌদিসহ আরও কয়েকটি দেশ। এমকি নিজের আকাশসীমা ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি ও মিশর।

দেশটির সঙ্গে একমাত্র স্থল সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে থাকা সৌদি আরব। এই অবস্থায় দেশটির নাগরিকরা পরেছেন চরম দুঃচিন্তায়। কারণ দেশটির তেল ও গ্যাম সমৃদ্ধ এই দেশে স্থানীয়ভাবে সাধারণত যে খাদ্য শস্য উৎপন্ন হয় তা চাহিদার ১০ শতাংশেরও কম। বাৎসরিক খাদ্য চাহিদার ৯০ শতাংশের বেশিই আমদানি করতে হয়। আর এর বেশিরভাগই (৪০ শতাংশ) সড়ক পথে সৌদি আরব হয়ে কাতারে প্রবেশ করে। কিন্তু সৌদি আরব সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় ওই পথে আর খাদ্য সামগ্রি আসবে না কাতারে।

২০১২ সালের এক পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, কাতার দানাদার খাদ্য শস্য আমদানি করেছে তার চাহিদার ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ। সবজি আমদানি করেছে চাহিদার ৮৩ দশমিক ৪ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে দেশটি ফর আমদানি করেছে তার চাহিদার ৮৬ শতাংশ। মাংস আমদানি করেছে চাহিদার ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এছাড়া এই সময়ে বাদামসহ ডাল জাতীয় ফসল আমদানি করেছে ৯৫ শতাংশ। আর দেশটির ভোজ্য তেলের চাহিদার শতভাগই আমদানি করতে হয়েছে।

আজকের বাজার : এসআর /এলকে ৬ জুন ২০১৭