কিছু শর্তে রপ্তানিমুখী শিল্প আবার চালু করা যেতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কিত নীতিমালা সঠিকভাবে মেনে চলা এবং শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেয়া হলে সীমিত আকারে কিছু রপ্তানিমুখী শিল্প পুনরায় চালু করার অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে গাজীপুর জেলার স্থানীয় প্রশাসনের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘এটি সত্য যে সামনে রমজান মাস আসছে। আমরা সবকিছু (শিল্প) বন্ধ করে রাখতে পারি না। আমাদের কিছু এলাকা ধীরে ধীরে আবার খুলতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আটটি জেলার সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে সোমবার করোনাভাইরাস নিয়ে কথা বলেন।

জেলাগুলো হচ্ছে ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ।

শেখ হাসিনা অবশ্য করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় আগামী ২৪-২৫ এপ্রিল গাজীপুরের কারখানাগুলো আবার চালু করা উচিত হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।

‘যদি তারা শিল্পগুলো আবার খুলতে চান বা অপারেশন পুনরায় চালু করতে চান এবং স্বাস্থ্য নির্দেশিকাগুলো মেনে চলে শ্রমিকদের কাজ করতে জড়িত করতে পারেন তবে তাদের সুরক্ষিত রাখুন এবং নিরাপদ জায়গায় তাদের আবাসের ব্যবস্থা করুন। এ ব্যবস্থা করার জন্য অনেক শিল্পের নিজস্ব জায়গা রয়েছে। তাহলে কিছু শিল্প আবার চালু করা যাবে,’ তিনি বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষকে এবার শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে। সম্প্রতি কিছু কারখানা শ্রমিকদের এ মাসের প্রথম দিকে কাজে যোগ দিতে বলায় অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ‘এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।’

‘যদি তারা শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে চান তবে তাদের জন্য পরিবহন, থাকার ব্যবস্থা এবং সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। যদি তা হয় তবে তাদের কারখানাগুলো আবারও খুলতে পারবেন, সীমিত সংখ্যক শ্রমিক কাজে যোগ দিতে পারবেন,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

যারা এ শর্ত মেনে কারখানাগুলো আবার খুলতে চান তাদের সাথে আলোচনা করার জন্য শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেন।