কিয়েভের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রুশ হামলা, মস্কোর জাহাজ ডুবিয়ে দেয়ার দাবি ইউক্রেনের

রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় হামলা চালিয়েছে। সাগর থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মাধ্যমে শুক্রবার এই হামলা চালানো হয়।
এদিকে এর আগে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের ছোঁড়া জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে রাশিয়ার ‘মস্কভা’ নামক একটি যুদ্ধজাহাজ কৃষ্ণসাগরে ডুবে গেছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ।
রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভের যে কারখানায় আঘাত করেছে সেখানে বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি হতো। ভাইজার নামে ওই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানাটি কিয়েভের শহরতলী যুলিয়ানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলেছে, এই কারখানাকে লক্ষ্য করেই তারা তাদের ক্যালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে।
এই হামলার মাধ্যমে রাশিয়া কারখানাটির দূর ও মাঝারি পাল্লার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও মেরামতের সরঞ্জাম ধ্বংস করে দিয়েছে।
একটি ওয়ার্র্কশপের মালিক ৪৭-বছর বয়স্ক আন্দ্রেই সিজভ র্বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, সেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে রাতের বেলায়। তিনি বলেন, রাত দেড়টা নাগাদ আমার নিরাপত্তা রক্ষী ফোন করে জানায় একটা বিমান হামলা হয়েছে। পাঁচবার আঘাত হানা হয়েছে। আমার একজন কর্মচারী অফিসে কাজ করছিলেন। তিনি বিস্ফোরণের ধাক্কায় চেয়ার থেকে ছিটকে পড়েন।
রাজধানী কিয়েভের আশেপাশে গত দু’সপ্তাহের মধ্যে এটি প্রথম এ ধরনের বড় হামলা।
এদিকে কৃষ্ণসাগরে রুশ জাহাজ ডুবিয়ে দেয়ার ইউক্রেনীয় দাবির প্রেক্ষিতে মস্কো বলছে, গোলাবারুদ বিস্ফোরণের পর উত্তাল সমুদ্রে ‘মস্কভা’ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার নৌ সমর্থনে কাজ করছিল এই মস্কভা। জাহাজের পাঁচশরও বেশি ক্রু’র ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জানা যায়নি। তবে এই জাহাজডুবি রাশিয়ার জন্য বড় বিপর্যয় বলে মনে করা হচ্ছে।
পেন্টাগণের কর্মকর্তারা বলছেন, অন্য রুশ জাহাজের মাধ্যমে জীবিত ক্রুদের উদ্ধার করতে দেখা গেছে।
তবে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ বলছে, খারাপ আবহাওয়ার কারনে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো অসম্ভব।