কী অবস্থা সাসপেন্ড হওয়া কোম্পানিগুলোর

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক হারে বেড়েছে কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দর। বাড়ার শুরু থেকেই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নজরে থাকলে শেষ পর্যন্ত ৩ কোম্পানিকে ট্রেড সাসপেন্ড করেছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- মুন্নু জুট স্টাফলার্স, লিগাসি ফুটওয়ার এবং বিডি অটোকার্স। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর সেকশন ৯ (৭) অনুসারে এই ট্রেড সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ সেকশন অনুসারে প্রথম দফায় ৩০ দিন লেনদেন করেছে। তবে কমিশন চাইলে আরও ১৫ কার্যদিবসের জন্য লেনদেন সাসপেন্ড রাখতে পারবে।
মুন্নু জুট স্টাফলার্স:
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মুন্নু জুট স্টাফলার্সের শেয়ার দর বৃদ্ধি শুরু হয় চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি থেকে। এসময় কোম্পানির শেয়ারটির দর ছিল ৬৬৯ টাকা ৮০ পয়সায়। গত ৭ মাসে দর বেড়ে হয়েছে ৭ গুণ। তবে অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির ধারা শুরু হয় গত মার্চের শেষে। ওই সময় শেয়ারটি ৭৫০ টাকার নিচে কেনাবেচা হয়। গতকাল শেয়ারটি সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৬৩৯ টাকা ৪০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে।
কোম্পানির  রিজার্ভ রয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা মাত্র ৪ লাখ ৬০ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে রয়েছে ৫৫.৯০ শতাংশ শেয়ার।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪.০২ শতাংশ শেয়ার, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে দশমিক ০১ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪০.০৭ শতাংশ শেয়ার।
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৩ পয়সা।
আর ৯ মাসে (জুলাই১৭ -মার্চ১৮) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯৫ পয়সা। গত হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল  ৬০ পয়সা।
৩১ মার্চ শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪৮ টাকা ৩৯ পয়সা।
লিগাসি ফুটওয়ার:
গত ৮ মে কোম্পানির শেয়ারটির দর ছিল ৫৫ টাকা ৬০ পয়সা। এরপর বাড়তে থাকে শেয়ার দর কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়া। গত ২৮ জুনের পর শুরু হয় অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি। গত সাড়ে ৩ মাসে প্রায় পাঁচগুণ হয়েছে শেয়ারটির দর। সম্প্রতি শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ওঠে প্রায় ২৮০ টাকা। গতকাল শেয়ারটি সর্বশেষ ২৬৩ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে।
কোম্পানির  রিজার্ভ রয়েছে ৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮৯৬টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে রয়েছে ৩০ শতাংশ শেয়ার।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৬.১৬ শতাংশ শেয়ার, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৭.৭২ শতাংশ শেয়ার।
লিগাসি ফুটওয়ার তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৬ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৪ পয়সা।
আর ৯ মাসে (জুলাই১৭ –মার্চ,১৮) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৮ পয়সা। গত হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল  ৫ পয়সা।
৩১ মার্চ শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে  ১৫ টাকা ৬৫ পয়সা।
বিডি অটোকার্স:
গত ২৮ মে শেয়ারটির দর ছিল ১০৯ টাকা ৩০ পয়সা। এরপর শুরু হয় অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি। গত ৫ জুলাই দর বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫০ টাকায়।গতকাল শেয়ারটির সর্বশেষ লেনদেন হয় ৪৩৭ টাকায়।
কোম্পানির  রিজার্ভ লোকসান রয়েছে ২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৩৮ লাখ ৬২ হাজার ৫১২টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে রয়েছে ৩৮.২৫ শতাংশ শেয়ার।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৭.৪৬ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৪.২৯ শতাংশ শেয়ার।
বিডি অটোকার্স তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪০ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২২ পয়সা।
আর ৯ মাসে (জুলাই১৭ -মার্চ১৮) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৩ পয়সা। গত হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল  ৩৫ পয়সা।
৩১ মার্চ শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে  ৩ টাকা ৬০ পয়সা।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক হারে বেড়েছে কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দর। বাড়ার শুরু থেকেই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নজরে থাকলে শেষ পর্যন্ত ৩ কোম্পানিকে ট্রেড সাসপেন্ড করেছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- মুন্নু জুট স্টাফলার্স, লিগাসি ফুটওয়ার এবং বিডি অটোকার্স। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর সেকশন ৯ (৭) অনুসারে এই ট্রেড সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ সেকশন অনুসারে প্রথম দফায় ৩০ দিন লেনদেন করেছে। তবে কমিশন চাইলে আরও ১৫ কার্যদিবসের জন্য লেনদেন সাসপেন্ড রাখতে পারবে।
মুন্নু জুট স্টাফলার্স:
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মুন্নু জুট স্টাফলার্সের শেয়ার দর বৃদ্ধি শুরু হয় চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি থেকে। এসময় কোম্পানির শেয়ারটির দর ছিল ৬৬৯ টাকা ৮০ পয়সায়। গত ৭ মাসে দর বেড়ে হয়েছে ৭ গুণ। তবে অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির ধারা শুরু হয় গত মার্চের শেষে। ওই সময় শেয়ারটি ৭৫০ টাকার নিচে কেনাবেচা হয়। গতকাল শেয়ারটি সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৬৩৯ টাকা ৪০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে।
কোম্পানির  রিজার্ভ রয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা মাত্র ৪ লাখ ৬০ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে রয়েছে ৫৫.৯০ শতাংশ শেয়ার।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪.০২ শতাংশ শেয়ার, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে দশমিক ০১ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪০.০৭ শতাংশ শেয়ার।
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৩ পয়সা।
আর ৯ মাসে (জুলাই১৭ -মার্চ১৮) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯৫ পয়সা। গত হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল  ৬০ পয়সা।
৩১ মার্চ শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪৮ টাকা ৩৯ পয়সা।
লিগাসি ফুটওয়ার:
গত ৮ মে কোম্পানির শেয়ারটির দর ছিল ৫৫ টাকা ৬০ পয়সা। এরপর বাড়তে থাকে শেয়ার দর কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়া। গত ২৮ জুনের পর শুরু হয় অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি। গত সাড়ে ৩ মাসে প্রায় পাঁচগুণ হয়েছে শেয়ারটির দর। সম্প্রতি শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ওঠে প্রায় ২৮০ টাকা। গতকাল শেয়ারটি সর্বশেষ ২৬৩ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে।
কোম্পানির  রিজার্ভ রয়েছে ৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮৯৬টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে রয়েছে ৩০ শতাংশ শেয়ার।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৬.১৬ শতাংশ শেয়ার, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৭.৭২ শতাংশ শেয়ার।
লিগাসি ফুটওয়ার তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৬ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৪ পয়সা।
আর ৯ মাসে (জুলাই১৭ –মার্চ,১৮) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৮ পয়সা। গত হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল  ৫ পয়সা।
৩১ মার্চ শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে  ১৫ টাকা ৬৫ পয়সা।
বিডি অটোকার্স:
গত ২৮ মে শেয়ারটির দর ছিল ১০৯ টাকা ৩০ পয়সা। এরপর শুরু হয় অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি। গত ৫ জুলাই দর বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫০ টাকায়।গতকাল শেয়ারটির সর্বশেষ লেনদেন হয় ৪৩৭ টাকায়।
কোম্পানির  রিজার্ভ লোকসান রয়েছে ২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৩৮ লাখ ৬২ হাজার ৫১২টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে রয়েছে ৩৮.২৫ শতাংশ শেয়ার।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৭.৪৬ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৪.২৯ শতাংশ শেয়ার।
বিডি অটোকার্স তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’১৮) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪০ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২২ পয়সা।
আর ৯ মাসে (জুলাই১৭ -মার্চ১৮) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৩ পয়সা। গত হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল  ৩৫ পয়সা।
৩১ মার্চ শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে  ৩ টাকা ৬০ পয়সা।