কৃষকদের কাছ থেকে ৪ লাখ টন চাল সংগ্রহ করবে সরকার

মজুদের উদ্দেশ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস বা দেশের কৃষকদের কাছ থেকে ৪ লাখ টন চাল সংগ্রহ করবে সরকার। ২৯ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে এই কথা জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে চাল আমদানির চিন্তা করছে সরকার। সামনে বন্যা হতে পারে- এমন আশঙ্কায় আরও চাল আমদানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর প্রসঙ্গে সংসদ সদস্যের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শুল্ক কমাতে গত এপ্রিলে এনবিআরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সে সময় শুল্ক কমালে চাল আমদানি হতো; আর দেশের কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হতো। প্রতি মণ ধান উৎপাদনে কৃষকের ব্যয় হয় সাড়ে ৭ হাজার টাকা। শুল্ক না কমানোর ফলে কৃষকরা মণ প্রতি সর্বোচ্চ সাড়ে ৯০০ টাকা দাম পেয়েছেন। কিন্তু শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সুযোগ দিলে উৎপাদন খরচও পেতেন না তারা। কৃষকের কথা চিন্তা করে দেরিতে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কামরুল ইসলাম বলেন, ঠিক সময়ে চাল আমদানির শুল্ক কমানো হয়েছে। এখন বাজারে ভারত থেকে চাল আমদানি হবে। দামের বৈষম্যের কারণে মিল মালিকরা সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেনি। চালের মজুদ কম এটা স্বীকার করি। চালের দাম না বাড়লে; সরকারি ও বাজার মূল্যের মধ্যে পার্থক্য না থাকলে মে থেকে জুন পর্যন্ত দুই মাসে কমপক্ষে ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল সরকারের ঘরে আসতো। কিন্তু এসেছে মাত্র ৫ হাজার মেট্রিক টন।

তিনি আরও বলেন, ট্যাক্স প্রত্যাহার ও শুল্ক কমানোর ফলে আগস্ট পর্যন্ত ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা যাবে। এপ্রিল মাসে সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল মজুদ ছিল; কিন্তু মে জুন মাসে সুনামগঞ্জ ও হাওর অঞ্চলের বন্যার জন্য মজুদ কমে এসেছে।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি করে ৫০ লাখ পরিবারকে ৫ মাস বিজিএফ দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। এই কর্মসূচির আওতায় ৫ মাসে দুঃস্থ ও হতদরিদ্রদের দেড়শ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। এরপর ঈদে স্পেশাল বিজিএফ; ঈদের বিজিএফ উঠিয়ে দেওয়া উচিৎ।

তিনি বলেন, গত ৪৫ বছর ধরে দেশে সাড়ে ১০ প্রোটিনের গম এসেছে। গত ১ বছর সাড়ে ১২ প্রোটিনের উন্নত গম আনছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। পুষ্টির বিষয় মাথায় রেখে উন্নতমানের চালও সংগ্রহ করছে সরকার।

আজকের বাজার: এলকে/এলকে ২৯ জুন ২০১৭