‘কৃষিতে জৈব কীটনাশকের দিকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে’

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে হলে কৃষিতে কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনায় বিষাক্ত রাসায়নিক কীটনাশকগুলির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে জৈব কীটনাশকের দিকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সরকার কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনায় বিষাক্ত রাসায়নিক কীটনাশকগুলির উপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনার প্রযুক্তি উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’

মঙ্গলবার (২৯মে) ঢাকায় সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সার্কভুক্ত দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘রিজিওনাল ট্রেনিং প্রোগ্রাম অন ইন্টিগ্রেটেড পেস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইপিএম) ইন সার্ক মেম্বার স্টেটস’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, কৃষি হচ্ছে খাদ্য শক্তি, প্রাণশক্তি, শ্রমশক্তি, এবং বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তির মূল উৎস, যা অদ্বিতীয় ও আন্তঃসংযুক্ত।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শি নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের জন্য আধুনিক ও টেকসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহারকে শক্তিশালী করেছে। এর ফলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ ইতোমধ্যে চাল রফতানি করেছে বাংলাদেশ।’

বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত সিনথেটিক রাসায়নিক কীটনাশক অপব্যবহারের ফলে অনেক উপকারী কীটপতঙ্গ ধ্বংসসহ সামগ্রিক উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়- উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফসলের ধ্বংসাত্মক কীটনাশক নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন জৈব যৌক্তিক কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা কৌশল গড়ে তুলেছে।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘যখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন, তখনই দেশ ক্ষুধা ও দারিদ্রতা থেকে বেরিয়ে আসে। কৃষিতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যে বিশ্ব সম্প্রদায় স্বীকৃতি দিয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানিত করেছে।’

আজকের বাজার/এসএম