কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের নিয়ে জাতীয় সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করে আজ বিকেল ৫টার মধ্যেই ক্ষমা চাওয়ার সময় বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বক্তব্য প্রত্যাহার না করা হলে আবার অবরোধ কর্মসূচির পালন করা হবে বলে জানান তারা।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি জানায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।

পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, উপাচার্যের বাসভবনে হামলাকারীরা বহিরাগত এবং এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি হামলাকারী পুলিশের শাস্তি ও ক্ষতি পূরণের দাবি জানাই।

আন্দোলনের নতুন কমিটির বিষয়ে নেতারা বলেন, যারা নতুন কমিটি করেছে তারা স্বার্থ হাসিলের জন্যই এ কমিটি করেছে। আমাদের ব্যানার ছাড়া কেউ যদি অন্য ব্যানারে আন্দোলন করে তাদের আমরা প্রতিহত করব।

তিনি বলেন, বিকেল ৫টার মধ্যে মতিয়া চৌধুরী বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা না চাইলে আমরা সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবো।

আন্দোলনকারীদের দাবি, আগামী তিন দিনের মধ্যে কোটা সংস্কার করতে হবে, মতিয়া চৌধুরীকে ক্ষমা চাইতে হবে, ক্যাম্পাসে পুলিশের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় জড়িতদের বিচার করতে হবে।

এর আগে গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদের ২০ তম অধিবেশনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, যারা দেশের জন্য জীবন বাজি রাখেন, পৃথিবীর সব দেশে তাদের জন্য বিশেষ সুযোগ থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা সুযোগ পাবে না, রাজাকারের বাচ্চারা সুযোগ পাবে? তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংকুচিত হবে?