কোটা বাস্তবায়নে সময় লাগতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আবারও আন্দোলন শুরু হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছি, বলেছি আমরা এটা করবো। বাস্তবায়নে সময় তো লাগতে পারে। এরপর আবার আন্দোলন, আলটিমেটাম দেওয়া, সবকিছু বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি; এটা তো বাড়াবাড়ি।

সোমবার (১৪ মে) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে কথা উঠলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো একটা কথা বলেছি, কমিটি কাজ করছে। কেউ বসে নাই, এটা একটা লম্বা প্রক্রিয়া। আমি একটা কথা দিয়েছি, সংশ্লিষ্ট লোকজন তা নিয়ে কাজ করছে। আন্দোলনকারীরা বলে, ক্লাস করবে না। না করলে না করবে, এতে তাদেরই ক্ষতি। আমি তো বলেছি, হবে।’

এই আলোচনায় অংশ নেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, কেউ কেউ এটা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। যেহেতু আপনি এর একটা সমাধানের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সেটা দ্রুত করা যায় কিনা দেখেন।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন প্রক্রিয়াধীন আছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন,‘কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ক্যাবিনেট সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং নারী কোটার বিষয়ে একটি সামারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। তবে আমি এখনও কোনও কাগজপত্র পাইনি। হয়তো কয়েকদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবো। অবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপন জারি কার্যকর করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া কোটা বাতিলের ঘোষণা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনসহ ধর্মঘট পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে মিছিল করে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নিয়েছেন। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তারা এখানে অবস্থান করবেন বলে জানান।

আজকের বাজার/ এমএইচ