কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে আটক ৪০

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ৪০ জন আন্দোলনকারীকে।

বুধবার, ১৪ মার্চ  রাজধানীর হাইকোর্ট মোড় থেকে এেদর আটক করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার সকাল থেকে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে জড়ো হতে থাকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পূর্ব নিধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরাও করার উদ্দেশ্যে সেখান থেকে মিছিল বের করে।

মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর হয়ে হাই কোর্টের সামনে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে সেখানেই আন্দোলন শুরু করে। পরে পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়লে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ সেখান থেকে আন্দোলনরত অন্তত ৪০ শিক্ষার্থীকে আটক করে।

এর আগে পাঁচ দফা দাবিতে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এসময় আন্দোলনকারীরা ১৩ই মার্চের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ১৪ই মার্চ সকালে সারা দেশে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ও ঢাকায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আজ সকালে এই কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

১৯৭২ সালের এক নির্বাহী আদেশে সরকারি, আধা-সরকারি, প্রতিরক্ষা, বেসরকারি ও জাতীয়করণ হওয়া প্রতিষ্ঠানে জেলা এবং জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা আর ১০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য কোটা পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়। তবে বিভিন্ন সময়ে ওই অাদেশে সংস্কার ও পরিবর্তন আনা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১ম ও ২য় শ্রেণীর সরকারি নিয়োগে প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নাতি-নাতনি ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৫ শতাংশসহ মোট ৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতি প্রচলিত আছে।

আরএম/