ক্রেডিট কার্ডের সুদহার পরিবর্তন চায় ব্যাংকাররা

ক্রেডিট কার্ডে সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরোপিত সর্বোচ্চ সীমায় পরিবর্তন চায় ব্যাংকগুলো। এক্ষেত্রে অন্যান্য ভোক্তা ঋণের সঙ্গে তুলনা না করে অন্য যে কোনো ঋণের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি সুদ নেওয়ার সুযোগ চাওয়া হয়েছে। এছাড়া নীতিমালা বাস্তবায়ন পিছিয়ে আগামী বছরের জানুয়ারিতে নিতে বলা হয়েছে।

১৯ জুন সোমবার দেশের ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে এসব দাবি তুলে ধরে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এসব দাবি পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে জানানো হবে বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এবিবির চেয়ারম্যান আনিস এ খানের নেতৃত্বে ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধি দলে ছিলেন- ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সোহেল আরকে হোসাইন, ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।

ক্রেডিট কার্ডে ব্যাংকগুলো ইচ্ছেমতো সুদ নিয়ে আসছে। বেশিরভাগ ব্যাংক অন্য ঋণের তুলনায় ক্রেডিট কার্ডে দ্বিগুণ সুদ নেয়। গত মে মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানার জনতা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে সুদহার নির্ধারিত ছিল ২৪ শতাংশ। অথচ অন্য ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৩ শতাংশ সুদ ছিল। অধিকাংশ ব্যাংকের চিত্র এরকম। এমন পরিস্থিতিতে গত মে মাসে প্রথমবারের মতো ক্রেডিট কার্ডের একটি নীতিমালা করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

নীতিমালা অনুযায়ী, যে কোনো ব্যাংকে অন্যান্য ভোক্তা ঋণের সর্বোচ্চ যে সুদ হার রয়েছে, তার চেয়ে ক্রেডিট কার্ডে ৫ শতাংশের বেশি নিতে পারবে না। অর্থাৎ- গাড়ি, ফ্লাট, টিভি-ফ্রিজ কেনা, বিয়ে বা যে কোনো ব্যক্তিগত ঋণে যদি কোনো ব্যাংকের সর্বোচ্চ ১৩ শতাংশ সুদ নির্ধারিত থাকে, ওই ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডে সর্বোচ্চ ১৮ শতাংশ সুদ নিতে পারবে। তবে ব্যাংকগুলো ক্রেডিট কার্ডে ঋণের সর্বোচ্চ সীমা অন্যান্য ভোক্তা ঋণের সঙ্গে যুক্ত করার পরিবর্তে অন্য যে কোনো ঋণের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ২০ জুন ২০১৭