খালেদার চ্যারিটেবল মামলাও স্থানান্তরে হাইকোর্টের নির্দেশ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলাটি বকশীবাজারে স্থাপিত আবু আহমেদ জমাদারের বিশেষ আদালত-৩ থেকে স্থানান্তর করে ড. মো. আখতারুজ্জামানের ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এ স্থানান্তর করতে বলা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার ১৭ মে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটিও একই আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ। ফলে খালেদা জিয়ার বিপক্ষে বিচারের চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকা দুটি মামলাই এখন একই আদালতে বিচার হবে।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, সঙ্গে ছিলেন জাকির হোসেন ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

এর আগে গত ১৫ মে আদালত পরিবর্তনের জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করা হয়।

আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া আবেদনের বিষয়ে জানিয়েছিলেন, ‘ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে এর আগে বেগম খালেদা জিয়ার অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি এই আদালত থেকে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই আদালতে এই মামলাটির ন্যায়চার পাওয়া নিয়েও আমাদের সংশয় রয়েছে। এ কারণেই আমরা আবেদনটি করেছি।’

আদালত পরিবর্তনের এই আবেদনটি আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে গত ১৩ এপ্রিল খারিজ হয়েছিল। সেই খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এই রিভিশন আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুদকের পক্ষের ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও আপিল বিভাগের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শেষ হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ২৫ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য চার আসামি হলেন তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব, বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/১৭ মে ২০১৭