খালেদা জামিন পেলেও কারাগারে রাখা হবে: মোশারফ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া জামিন পেলেও তাঁকে কারাগারে রাখা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন।

সোমবার (১৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশনেত্রী মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতা বলেন, আগামীকাল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির দিন ঠিক আছে। আমরা বিশ্বাস করি যে, খালেদা জিয়াকে আপিল বিভাগে আর আটকে রাখা সম্ভব হবে না। সুতরাং, আগামীকাল আপিল বিভাগের রায়ে আমাদের নেত্রী জামিন পাবেন। কিন্তু সরকারের যে নীল-নকশা, খালেদা জিয়া জামিন পেলেও তাঁকে সরকার মুক্ত হতে দিতে চায় না। তাঁকে মুক্তি দিবে না বলে আমাদের একটা শঙ্কা আছে!

মোশাররফ বলেন, খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার পরও তাঁকে মুক্তি না দেওয়ার জন্য সরকার নানা অজুহাত সৃষ্টি করবে। তাই আদালতের ওপরে সম্পূর্ণ নির্ভর করে বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্ত করা যাবে না। কারণ, এই সাজাটা কোনো আইনের কাঠামো বা আইনের নিয়মের মধ্যে হয়নি। যে অভিযোগে সাজা হয়েছে, তার সঙ্গে খালেদা জিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শাস্তি হয় কীভাবে?

তিনি বলেন, বিচারবিভাগ যদি স্বাধীন হতো এবং আইন যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ হতো তাহলে খালেদা জিয়ার শাস্তি হয় না। অতত্রব খালেদা জিয়ার সাজা রাজনৈতিক। আর এখন পর্যন্ত রাজনৈতিকভাবে তাঁকে কারাগারে রাখা হয়েছে। আর কাল যদি জামিন হয় তাহলেও রাজনৈতিকভাবেই তাঁকে কারাগারে রাখা হবে। তাই সামনে মুক্তির যদি প্রশ্ন উঠে, তাহলে শুধু আদালতের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। এটা রাজনৈতিক। তাই রাজনৈতিকভাবেই আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। আর রাজনৈতিকভাবে মুক্ত করতে হলে আন্দোলন-সংগ্রামের বিকল্প নেই।

আন্দোলন, সংগ্রাম, গণঅভ্যুত্থান ও গণজাগরণ কোনো নোটিশ দিয়ে হবে না বলেও সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন যেমন হঠাৎ করে হয়েছে। এটা তাদের যৌক্তিক দাবি। আজকেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার জনগণের কাছে যৌক্তিক দাবি। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভোটাধিকার জনগণের যৌক্তিক দাবি। এই যৌক্তিক দাবিতে জনগণ একদিন জাগবে। সেই জাগরণ কোনো সময়, তারিখ ও নোটিশ দিয়ে হবে না।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি আসাদুজ্জামান নেছারের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু ও ছাত্রদলের সহসভাপতি আলমগীর হাসান সোহান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আরজেড/