খোলা ড্রেনেই মশার বিস্তার

শীত যেতেই শুরু হয়েছে ফরিদপুর শহরজুড়ে মশার তীব্র উপদ্রব। দিনে-রাতে, ঘরে-বাইরে এসব মশার উপদ্রবে ইতিমধ্যে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এতে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন শহরবাসী। সরেজমিনে ফরিদপুর শহরের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সড়কের পাশে ড্রেন ও ডোবাসহ নানা স্থানে জমে থাকা পানিতে মশার ভয়াবহ বিস্তার ঘটছে। রাস্তার পাশে খোলা স্থানে দুই-তিনদিনের জমে থাকা তুলনামূলক স্বচ্ছ পানিতেও মশার বংশ বিস্তার ঘটছে। এসব স্থানে তৈরি হচ্ছে মশার লার্ভা।

ওষুধ ব্যবসায়ী নিশান মাহমুদ বলেন, সম্প্রতি শহরে ড্রেন সংস্কারের কাজ হচ্ছে। এতে ড্রেনের ময়লা আবর্জনাযুক্ত উম্মুক্ত পানিতে গিজগিজ করছে মশা। এসব মশার উপদ্রবে তারা খুবই অতিষ্ঠ। ডেনের ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত পানি পরিষ্কার করা হয়নি। সেখানে মশা বংশবিস্তার করছে। তিনি বলেন, সামনেই ডেঙ্গুর মৌসুম। এখন জনমনে ডেঙ্গু নিয়ে একটা আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে এ মশার উপদ্রবে।

স্থানীয় এক সংবাদকর্মী তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর গরম মৌসুম শুরুর আগেই প্রচণ্ড রকমে মশার উপদ্রব বেড়েছে। বাসাবাড়ি, হাসপাতাল, ব্যবসা কেন্দ্র, শহর-গ্রাম সবখানেই একই দশা। মশা নিধনে যে ওষুধ ছিটানো হয়, তা কতোটাকু কার্যকর তা নিয়েও সন্দেহ আছে। তিনি বলেন, গত বছর যেভাবে ডেঙ্গুর উপদ্রব হয়েছিলো, এবার যদি ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাতে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শহিদুল ইসলাম নামে ঝিলটুলীর এক বাসিন্দা বলেন, সন্ধা হলেই বাসাবাড়ির দরজা জানালা আটকে ঘরে থাকি। কয়েল জ্বালাই, মশার ওষুধ স্প্রে করি। তারপরেও মশা মরে না।

ফরিদপুর পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু অবশ্য মশার উপদ্রবের কথা স্বীকার করলেও মশা নিধনে পৌর কর্তৃপক্ষ তৎপর রয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, পাঁচটি ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধক ওষুধ ছেটানো হচ্ছে। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় মশা নিধনে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বাড়ির আঙিনা ও মশা তৈরি হতে পারে এমন সব স্থান পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ড্রেনের খোলা মুখে মশক নিধক ওষুধ গুলিয়ে ঢেলে দেয়া হচ্ছে। এতেও মশার কীট মরে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

আজকের বাজার/শারমিন আক্তার