‘গরিবের ভালোবাসা প্রকাশ পায় দুই ফোঁটা চোখের জলে’

‘বড় লোকের ভালোবাসা প্রকাশ পায় দামি দামি উপহারে! আর গরিবের ভালোবাসা প্রকাশ পায় দুই ফোঁটা চোখের জলে’! এ কথাগুলো ফেসবুকে লেখার ৩১ মিনিট পরেই সিলিংফ্যানে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বিশ্বজিৎ দাস (১৭) নামে এক কিশোর।

কলকাতার দমদম থানা এলাকার নয়াপট্টির দুর্গাবতী কলোনি থেকে ওই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। খবর আনন্দবাজারের।

বিশ্বজিতের বাবা খোকন দাস পেশায় রিকশাচালক। বিশ্বজিৎ একটি প্রেশারকুকারের কারখানায় কাজ করত বলে জানা গেছে।

নিহতের মা সুমিত্রা জানান, স্থানীয় এক কিশোরীর সঙ্গে ছেলের এক বছর ধরে ঘনিষ্ঠতা ছিল। সম্প্রতি অন্য একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় মেয়েটির। তা নিয়ে কদিন ধরেই সেই কিশোরীর সঙ্গে অশান্তি চলছিল বিশ্বজিতের। সেসব কারণেই বিশ্বজিতের সম্পর্কটি নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তা মেনে নিতে পারেনি ছেলেটি। তাই ফেসবুকে কথাগুলো লিখে বিশ্বজিৎ।

এ বিষয়ে পুলিশ জানায়, বাড়িতে সিলিংয়ের বাঁশে ওড়নার ফাঁস থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই কিশোরকে দেখা যায়। ঘরের দরজা ভেঙে তাকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা বিশ্বজিৎকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এর পরেই বিশ্বজিতের মা সুমিত্রাকে ফেসবুকের ওই লেখার কথা জানান কিশোরের এক বন্ধুর মা। তারাই জানান, ওই কিশোরের লেখায় প্রণয়ঘটিত কারণে অবসাদের ইঙ্গিত মিলেছে। এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা।

আরজেড/