গাড়ি বের করার শাস্তি ‘মুখে পোড়া মবিল’

নিরাপদ সড়ক আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন চেয়ে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি চলাকালে রাজধানীর কোনো কোনো জায়গায় বিশৃঙ্খল আচরণ করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এ সময় তারা দলবেঁধে ব্যক্তিগত গাড়ি চালকদের ওপর চড়াও হচ্ছেন। গাড়ি বের করার অপরাধে তাদের শরীরে ও মুখে পোড়া মবিল ঢেলে দিচ্ছেন।

ব্যক্তিগত গাড়ি চালক ছাড়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল চালকদের ওপরও চড়াও হচ্ছেন শ্রমিকরা। এমনকি শ্রমিকদের এমন নৈরাজ্যের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না সাংবাদিকরাও।

বিশেষ করে সায়েদাবাদ, গাবতলী, গুলিস্তান ও মহাখালী বাসটার্মিনাল ও আশপাশের এলাকায় তারা দলবদ্ধভাবে প্রাইভেটকার, অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি অনেক যাত্রী ও চালকের মুখ, কাপড়ে গাড়ির ব্যবহৃত ইঞ্জিন অয়েল (পোড়া মবিল) লাগিয়ে দেয় তারা। ফলে অফিসগামী চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ সময় বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা অনেক দূরপাল্লার বাস-ট্রাকও আটকে দিতে দেখা যায়।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে গুলিস্তান, মতিঝিলগামী কোনো যানবাহন চলছে না। মাঝে মধ্যে দু’একটা ব্যাটারি চালিত রিকশাভ্যান চললেও সেগুলো যাত্রাবাড়ীর আগেই কাজলা এলাকায় যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে। যানবাহন না পেয়ে এ সময় হাজার হাজার মানুষকে হেঁটেই নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।

এছাড়া মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে রাতে ছেড়ে আসা গাড়িগুলোকে আটকে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা।

এছাড়া যাত্রাবাড়ী মোড়ে কয়েকজন সাংবাদিককেও আটকে দেয় উশৃঙ্খল পরিবহন শ্রমিকরা। কয়েকজন পোড়া মবিলও লাগিয়ে উদ্যত হয়। তখন সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও কয়েকজন শ্রমিক উশৃঙ্খল আচরণ করতে থাকে। পরে অনেক বুঝিয়ে তাদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তারা। এমনকি ছবি তুলতে গেলে বাঁধা দিয়ে সোজা চলে যেতে বলে। এ সময় পাশেই রিকশায় আসা কয়েক যাত্রীর মুখ ও কাপড়ে পোড়া মবিল লাগিয়ে দেয় আন্দোলনরত শ্রমিকরা।