গোদাগাড়ীতে চেয়ারম্যানের কুকীর্তি

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তার পরিষদের এক নারী সদস্যকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে ভুক্তভোগী ওই নারী সদস্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত ওই চেয়ারম্যানের নাম মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। তিনি চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তার বাড়ি উপজেলার আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের দিয়াড়মানিকচক এলাকায়।

অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযোগের তদন্তও শুরু হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনার নামে চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ ওই নারী সদস্যকে তার বাসায় ডাকেন। তাই সন্ধ্যার পর তিনি তার স্বামীকে নিয়ে চেয়ারম্যানের বাসায় যান। তখন গোপন আলোচনা আছে জানিয়ে চেয়ারম্যান শুধু ওই নারীকে তার ঘরে নিয়ে যান। আর বাইরের বারান্দায় বসে থাকেন তার স্বামী।

বিভিন্ন আলোচনা শেষে ওই নারী চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন। তখন বাড়ির দরজা পর্যন্ত তাকে এগিয়ে দিতে আসেন চেয়ারম্যান। এ সময় দরজার সামনে চেয়ারম্যান তার মুখ চেপে ধরে পাশের গোয়াল ঘরের ভেতরে নিয়ে যান। এরপর তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এসময় নারী সদস্যের চিৎকার শুনে বারান্দায় বসে থাকা স্বামী ছুটে আসলে তাকে ছেড়ে দেন চেয়ারম্যান।

ওই নারী সদস্য বলেন, চেয়ারম্যান সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাসুর। তার কাছে শ্লীলতাহানির শিকার হওয়া দুঃখজনক। তাই এই ঘটনাটি প্রথমে আত্মীয়-স্বজনকে জানানো হয়। তাদের কাছে বিচার চাই। স্থানীয় ক্লাবেও অভিযোগ করে বিচার চেয়েছি। কিন্তু সবাই বলেন, তোমরা চেয়ারম্যান-মেম্বার, তোমাদের বিচার কিভাবে করবো! কেউ বিচার করেনি। বাধ্য হয়ে ডিসি অফিসে অভিযোগ করি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের বলেন, গত বুধবার তার কাছে অভিযোগটি করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারেই নিয়েছেন। তাই ঘটনাটি তদন্ত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল আকতার বলেন, তিনি তদন্তকাজ শুরু করেছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

আজকের বাজার/একেএ