ঘুষের মামলায় কারাগারে নাজমুল হুদা

ক্ষমতায় থাকাকালীন ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার মামলায় সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক এইচ এম রুহুল ইমরান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন নাজমুল হুদা।

শুনানি শেষে নাজমুল হুদাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হলে তার আইনজীবী বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা ও কারাগারে ডিভিশনের আবেদন করেন। পরে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের ওই মামলায় নাজমুল হুদাকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। রায়ের কপিটি বিচারিক আদালতে পৌঁছার ৪৫ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। অন্যথায় বিচারিক আদালত তার গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে আদেশ জানান।

সেই প্রেক্ষিতে আজ বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা নাকচ করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘খবরের অন্তরালে’র জন্য মীর জাহের হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদা।

এ মামলায় জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন এমপি হোস্টেলে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ২৭ আগস্ট এক রায়ে নাজমুল হুদাকে ৭ বছর ও সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদন্ড দেন।

রায়ের বিরুদ্ধে হুদা দম্পতি হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২০ মার্চ এক রায়ে হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক।

পরে আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন এবং পুনরায় হাইকোর্টে বিচার করার নির্দেশ দেন। এরপর মামলাটির পুনরায় শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে নাজমুল হুদাকে চার বছর কারাদন্ড এবং সিগমা হুদাকে তার কারাভোগের সময়কে সাজা হিসেবে ঘোষণা করেন। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ