ঘূর্ণিঝড় রেমাল: পটুয়াখালীতে ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার ও ৩৫টি মুজিব কিল্লা প্রস্তত

‘রেমাল’র প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, ৩৫টি মুজিব কিল্লা, ৭৩০ টন চাল, ১০ লাখ  টাকার শিশু খাদ্য, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শুকনা খাবার রয়েছে ১ হাজার ৫০০ প্যাকেট। নগদ টাকা রয়েছে ২৪ লাখ ৭ হাজার টাকা ৫০০ টাকা।
এ সময় মানুষকে সচেতন ও দুর্যোগে উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির ৯ হাজার স্বেচ্ছা সেবককে প্রস্তুত থাকাসহ বিদ্যুৎ বিভাগ সড়ক বিভাগ ফায়ার সার্ভিসকে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম। জেলায় মোট ৭৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন, ওষুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সংরক্ষিত রয়েছে।
জেলায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দুর্যোগের সময় কোথাও ভাঙ্গন দেখা দিলে তা মেরামতের জন্য ১৬ হাজার জিও ব্যাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে জেলায় ৮৭ হাজার হেক্টর জমিতে রয়েছে মুগ ডাল এবং ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
পটুয়াখালী আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে। (বাসস)