সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক হুমায়ন কবির বলেছেন বঙ্গোপসাগরে নি¤œচাপ সৃষ্টি হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’ রূপ নিয়েছে। যদি এ উপকূলে আঘাত হানে তবে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।
তিনি আরো বলেন, এ মৌসুমে একটি সাধারণ প্রস্তুতি আমাদের থাকেই তার পরেও এ উপলক্ষে আমাদের উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর আশাশুনিসহ কালিগঞ্জ দেবহাটা এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা, শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা, জনপ্রতিনিধি সরকারি কর্মচারী সকলে যেন নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করে একই সাথে প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুতকরণ, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাওয়ার পানি মজুদ রাখা, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে মানুষকে সতর্ক করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর সকল প্রস্তুতি জেলা প্রশাসন গ্রহণ করেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ ৮৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবহারের উপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়া ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরী কাজে অংশগ্রহণের জন্য। এছাড়া জরুরী ত্রাণ কার্যে ব্যবহারের জন্য ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকামজুদ রয়েছে। (বাসস)
ঘূর্ণিঝড় “রেমাল” মোকাবেলায় সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রস্তুত রয়েছে-জেলা প্রশাসক
![](https://www.ajkerbazzar.com/wp-content/uploads/2024/05/image-139119-1716698585.jpg)