চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই, আহত ২১

চট্টগ্রাম নগর ও তিন উপজেলায় চারটি সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুল শিক্ষকসহ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন।

বুধবার (১১জুলাই) ভোর থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরের মইজ্জারটেক, লোহাগাড়া, মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলায় দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।

নিহত দু’জন হলেন- স্কুল শিক্ষক নিরোধ নাথ (৬০) ও রিকশা চালক মো. খোকন (৪৫)।

নিহত নিরোধ নাথ বাড়বকুণ্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভবতোষ নাথের বাবা।

নিহত রিকশা চালক মো. খোকন নোয়াখালীর হাজীপুরের নুর ইসলামের ছেলে। দুর্ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজনের নাম জানা গেছে।

তারা হলেন- বাড়বকুণ্ডের নূর মোহাম্মদ (২০), আমেনা বেগম (৫৫) ও শান্ত (১৮)।

লোহাগাড়ায় বাস দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- বাঁশখালীর মো. শহিদুল ইসলাম (৩৫), পেকুয়ার নূর মোহাম্মদ (৪০), মো. আজম (২৫), চকরিয়ার মো. শাহাব উদ্দিন (৪০), নুরুল কবির (৬০), আবু তাহের (৪৫), মো. টিপু (২১), লামার ফেরদৌস বেগম (৪২), আরমিন আক্তার (৮), পারভিন আক্তার (১৪), মো. ইব্রাহিম (২৫), নোয়াখালীর মো. মিল্লাত (২৩), পটিয়ার অশিব বরণ দে (৫৮) ও দোহাজারীর আবদুর রহিম (৪০)।

নিহত স্কুল শিক্ষক নিরোধ নাথের ছেলে ও চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভবতোষ নাথ জানান, বুধবার সকালে বাড়বকুণ্ড বাজারে রাস্তা পারাপারের সময় বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তার বাবা নিরোধ নাথ।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের অফিসার ইনচার্জ ওয়াসি আজাদ জানান, বুধবার ভোর রাতে আর আর জুট মিলের সামনে একটি মাইক্রো (নোয়া) অপর একটি গাড়িকে ধাক্কা দিলে ৩ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, ‘শহরের মইজ্জারটেক এলাকায় দুটি বাস প্রতিযোগিতা করে একে অন্যের আগে যাওয়ার চেষ্টা করছিলো। এ সময় একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন রিকশা চালক খোকন। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলার বটতলী মোটর স্টেশনে দু’বাসের সংঘর্ষে ১৪ যাত্রী আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। বুধবার বেলা আড়াইটায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম শহরমুখী মারশা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসকে (চট্টমেট্রো-ব-১১-১১৪৩) পেছন থেকে আসা হানিফ পরিবহনের অপর একটি যাত্রবাহী বাস (চট্টমেট্রো-জ-০৫-০০৫৮) ধাক্কা দেয়। ফলে হানিফ পরিবহনের বাসটির সামনের দিকে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ওই বাসের ১৪ যাত্রী আহত হয়েছে।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান  জানান, ‘নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মারশা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসকে হানিফ পরিবহনের একটি বাস  ধাক্কা দেয়।এ সময় যারা আহত হন  স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান’।

চিকিৎসকদের দেয়া তথ্যে জানা যায়, আহতদের মধ্যে কেউ আশংকাজনক নয়।

ওসি জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি হাইওয়ে থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাক চালক আহত হবার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কে দুটি ট্রাকের সংঘর্ষের পর একটি ট্রাকের চালক দোমড়ানো ট্রাকেই আটকা পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারে করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।

এসএম/