চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে সিডিউল বিপর্যয়, যাত্রীদের বিক্ষোভ

সিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম শাহআমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এদিকে ফ্লাইট রি-শিডিউল করা এবং ৮/৯ ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসিয়ে রেখে কোনো হোটেল না পেয়ে বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ বিমানের মাসকটগামী যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার সকালে বিমানবন্দরে ভেতরে অপেক্ষমান অর্ধশতাধিক যাত্রী বিক্ষোভ করে। পরে বিমানবন্দর ও বাংলাদেশ বিমানের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে তাদের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করেন।

আটকেপড়া যাত্রী ফারুক মির্জা বলেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকে বিমানবন্দরের ভেতরে আটকা রয়েছি। অসংখ্য যাত্রী এখানে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। মাসকাটগামী বিমানের সিডিউল সময় ছিল বুধবার রাত ১০টা। কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করে জানায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় বিমান ছাড়বে। তাই সারা রাত কেটেছে বিমান বন্দরের ভেতরে। অথচ ভোরেও ফ্লাট দিতে পারেনি। কর্তৃপক্ষ বলছে সন্ধ্যা ৭টায় ফ্লাইট ছাড়বে।

অপেক্ষামান আরও কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেন, ফ্লাইট বিলম্ব হলে নিয়ম হচ্ছে আট ঘণ্টা অপেক্ষা করলে হোটেল সুবিধা দেবে। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে গত রাত থেকে আমরা এখানে সীমাহীন কস্ট পাচ্ছি।

জানতে চাইলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জাহান বলেন, মাসকটগামী বিমানের ফ্লাইট ছিল রাত ১০টায়। এরপর ভোর পাঁচটায় রি-সিডিউল করা হয়। সর্বশেষ সন্ধ্যা ৭টায় রি-সিডিউল করা হলে যাত্রীদের মধ্যে একটু উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা বিমানের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে যাত্রীদের শান্ত করার চেষ্টা করি। সর্বশেষ বিমানের কর্মকর্তারা যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা থেকে অন্য বিমানে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর আশ্বাস দিলে যাত্রীরা শান্ত হন।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বুধবার ইউএস-বাংলার একটি বিমানে ত্রুটি দেখা দেয়ার কারণে বিমানটি শাহআমানতে জরুরি অবতরণ করে। এতে বিমানের সামনে চাকা ভেঙে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে রানওয়ে বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ঘণ্টা বিমানবন্দরটিতে বিমান উঠানামা বন্ধ রাখা হয়। এ কারণে বিমানের সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। তথ্যসূত্র-ইউএনবি।

আজকের বাজার/এমএইচ