চলতি অর্থবছরে কমবে ব্যাংকিং খাতের প্রবৃদ্ধি

নানা সমস্যা ও প্রতারণার কারণে দেশের ব্যাংকিং খাতের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে ব্যাংকিং খাতের সম্প্রসারণের হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ কমবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্য থেকে এসব জানা যায়।

সূত্র জানায়, দেশের আর্থিক মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রবৃদ্ধির হার চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ কমবে।এর আগের অর্থবছর, ২০১৬-২০১৭ এই প্রবৃদ্ধির হার ছিলো ৯ দশমিক ১২ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদগণ বলছেন, সম্প্রতি ব্যাংকিং খাতের প্রতারণা ও বিপত্তিসমূহ দেশের আর্থিক খাতকে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত করেছে।

বিবিএসর তথ্য থেকে জানা যায়, আর্থিক মধ্যস্থতাকারীর (ব্যাংক) সাব-সেক্টরের প্রবৃদ্ধির হার চলতি অর্থবছরে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ ধরা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় কমেছে ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

অন্যদিকে, বীমার সাব-সেক্টরের প্রবৃদ্ধির হার চলতি অর্থবছরে গত বছরের তুলনায় কমেছে দশমিক ৪২ শতাংশ। গত অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধির হার কমেছিল ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

দেশের আর্থিক খাত, বিশেষভাবে ব্যাংকগুলো কঠিন সময় পার করছে। বিশাল অঙ্কের নন-পারফরমিং লোন (এনপিএল), কম নিট লাভ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ও তারল্য সংকটসহ অসংখ্য সমস্যার বোঝা বহন করছে ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, ব্যাংকগুলোতে ২০১৭ সালে এনপিএল’র পরিমাণ ৭৪৩.০৩ বিলিয়ন টাকায় পৌঁছে। ২০১৬ সালে এনপিএল’র পরিমাণ ছিল ৬২১.৭২ বিলিয়ন টাকা।

বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, প্রতারণা ও সমস্যাগুলো বর্তমান অর্থবছরে ব্যাংকিং খাতের প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধিকে আক্রান্ত করেছে।

একেএ/আরএম