চাপ সত্ত্বেও নির্বাচনের দাবি প্রত্যাখ্যান মাদুরোর

ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো নির্বাচনের আহবান জানিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর দেয়া আলটিমেটাম রোববার প্রত্যাখ্যান করেছেন। এদিকে বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী জুয়ান গুয়াইদো বামপন্থী এ সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সামরিক বাহিনীর প্রতি জোরালো আহবান জানিয়েছেন।

স্পেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড ও জার্মানি শনিবার হুঁশিয়ার করে বলেছে আটদিনের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা না দিলে তারা অন্তবর্তীকালীন সরকার হিসেবে গুয়াইদোকে স্বীকৃতি দেবে। এদিকে গ্রীসের বামপন্থী ক্ষমতাসীন সিরিজা দল মাদুরোর প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছে।

সিএনএন’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মাদুরো বলেন,‘ইউরোপীয় দেশগুলোর উচিৎ হবে তাদের দেয়া এই আলটিমেটাম প্রত্যাহার করে নেয়া। কেউ আমাদেরকে এভাবে সময় বেঁধে দিতে পারে না।’

মাদুরো আরো বলেন, ‘ইউরোপের সাথে ভেনিজুয়েলার কোন সম্পর্ক নেই। এটি হচ্ছে তাদের ঔদ্ধত্যপনা।’

তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোর এমন পদক্ষেপকে ‘ভুল’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

পোপ ফ্রান্সিস রোববার বলেন, ‘এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য তিনি প্রার্থনা করছেন।’

বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রধান ৩৫ বছর বয়সী গুয়াইদো বুধবার কারাকাসে সরকার বিরোধী বিশাল সমাবেশে নিজেকে দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন।

প্রতিবাদী এ নেতা বলেন, দ্বিতীয় ছয় বছরের মেয়াদে মাদুরোর পুন:নির্বাচন জালিয়াতিপূর্ণ ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ল্যাটিন আমেরিকার অনেক দেশ ২০১৮ সালের মে মাসে মাদুরোর পুন:নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানায় এবং তারা অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্রুত গুয়াইদোকে স্বীকৃতি দেয়। এতে সংকটপূর্ণ ভেনিজুয়েলায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

এক্ষেত্রে মাদুরো রাশিয়া, সিরিয়া, তুরস্ক ও চীনের পাশাপাশি কারাকাসের দীর্ঘদিনের মিত্র দেশ কিউবা ও বলিভিয়ার সমর্থন পান।

সিএনএন’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মাদুরো তার বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা চালানোয় ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেন। তিনি জোরদিয়ে বলেন, গুয়াইদো সংবিধান লঙ্ঘন করছেন।

মাদুরো বলেন, ‘ভেনিজুয়েলায় যা কিছু ঘটছে এসবের পেছনে আমেরিকার হাত রয়েছে। তারা আমাদেরকে আক্রমণ করছে এবং তারা মনে করে ভেনিজুয়েলা হচ্ছে তাদের পেছনের বাগান।’

তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/এমএইচ