শেনঝেন – সাংহাই কেই বিএসইসি’র অনুমোদন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী করতে চীনের দুই প্রতিষ্ঠান শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়ামকে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর মাধ্যমে চীনা কনসোর্টিয়ামটি ডিএসইর পার্টনার হওয়ার জন্য আর কোন বাঁধা নেই।অনেক নাটকীয়তার পর পুঁজিবাজার নিয়ে তৈরী হওয়া নানা গুঞ্জনের বিদায় হলো এই একটি সিদ্বান্তের মাধ্যমে ।বৃহস্পতিবার বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৬৪৩ তম(জরুরি) কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত সোমবার বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) চীনের প্রস্তাব ডিএসইর শেয়ারহোল্ডাররা অনুমোদন করেন। ওই দিনই নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেতে প্রস্তাবটি বিএসইসিতে পাঠানো হয়।
চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাব প্রথমে অনুমোদন না দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিল বিএসইসি। সে সময় কিছু শর্ত দিয়ে ডিএসইকে আবার প্রস্তাব পাঠাতে বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিএসইসির দেওয়া শর্তগুলো ছিল- শেয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্টে (এসপিএ) এমন কোনো শর্ত রাখা যাবে না, যা স্থানীয় আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। পাশাপাশি ডিএসইর সাধারণ শেয়ারহোল্ডার ও বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট উন্নয়নের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো প্রস্তাব রাখা চলবে না, যা পরিপালন করতে ডিএসইর বিদ্যমান মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশন সংশোধন করতে হয়। এসপিএ-সহ কৌশলগত ইস্যু চূড়ান্ত করে কমিশনে জমা দেয়ার আগে ডিএসইর শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে হবে। কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন ডিএসইর সাধারণ সভায় উপস্থাপন করতে হবে। ডিএসইর সাধারণ সভার সিদ্ধান্তপত্র, এসপিএ-সহ কনসোর্টিয়ামের অন্যান্য কাগজাদি নিয়ে কমিশনে চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে।
বিএসইসির দেয়া শর্তগুলো পরিপালন করেই গত সোমবার সংশোধিত প্রস্তাব পাঠায় ডিএসই।

সোমবার ডিএসই’র ৮ম বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়ামের পক্ষেই অনুমোদন দেয়া হয়।
ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় ডিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়াম এর নিকট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এর ব্লকড একাউন্টে রক্ষিত ২৫ শতাংশ বা ৪৫০,৯৪৪,১২৫ টি সাধারণ শেয়ার বিক্রয়ের চুক্তি এবং সেই সাথে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত ও গৃহিত হয়।
জাকির/আজকের বাজার