চীনে নতুন করে আরো ৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত

চীনা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটিতে সোমবার মহামারি করোনাভাইরাসে নতুন করে আরো ৪৯ জন আক্রান্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে কেবলমাত্র রাজধানীতেই ৩৬ জনের বেশি সংক্রমিত হয়েছে। এখানে একটি পাইকারি খাদ্য বাজারের পাশের আবাসিক এলাকায় গুচ্ছ সংক্রমণ দেখা দেয়ায় দেশটিতে কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে। এদিকে সেখানে গুচ্ছ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সাথে এ পাইকারি বাজারের যোগসূত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
চীনের অভ্যন্তরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসলেও গত সপ্তাহে রাজধানীতে এ ভাইরাসের গুচ্ছ সংক্রমণ সনাক্ত করা হয়।
গত বছরের শেষের দিকে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় উহান নগরীতে প্রথম এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। দেশটিতে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে করোনাভাইরাসের চরম থাবা লক্ষ্য করা গেলেও এর পর থেকে সেখানে নাটকীয়ভাবে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। ফলে চীনে ভাইরাসটি ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলেও মনে করা হচ্ছিল।
জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বেইজিংয়ে নতুন করে আরো আক্রান্তের কথা জানিয়েছে। তারা হুবেই প্রদেশে তিনজনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।
বেইজিং জিনফাদি খাদ্য বাজারের কর্মীদের গণ করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরু করেছে।
এর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাস করা লোকজন এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এ বাজারে যাওয়া ব্যক্তিদেরও করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, তাদের এ এলাকার ৪৬ হাজার বাসিন্দার কোভিড-১৯ ভাইরাস পরীক্ষা করার পরিকল্পনা রয়েছে। তারা ইতোমধ্যে ১০ হাজারের বেশি লোকের করোনা পরীক্ষা করেছে।
ওই বাজারের পার্শ্ববর্তী ১১টি আবাসিক এলাকা লকডাউন করা হয়েছে এবং চীনের বিভিন্ন নগরী বেইজিং সফর করা থেকে বিরত থাকতে বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে।
কর্র্তৃপক্ষ এ বাজারে যাওয়া ব্যক্তিদের সনাক্ত করার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। এদিকে সোমবার বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসা ১০ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে।
চীনে বর্তমানে মোট ১৭৭ জন করোনা রোগী রয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশংকাজনক। মে মাসের শুরু থেকে করোনা রোগীর এ সংখ্যা সর্বোচ্চ।