চীন ফেরত বাংলাদেশিদের ৭ জন হাসপাতালে

করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে চীনের উহান থেকে দেশে ফেরা ৩১৬ বাংলাদেশির মধ্যে শনিবার সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যদের আশকোনায় হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের নিকটস্থ রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাতজনের মধ্যে চার জনের শরীরে জ্বর এবং বাকি তিন জনের সর্দি ছিল। এর আগে, সকালে করোনাভাইেোসের উৎসস্থল চীনের উহান শহর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট সকালে দেশে ফিরেন ৩১৬ জন বাংলাদেশি।

বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার ইউএনবিকে জানান, বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে বিজি ৭০০২ ফ্লাইট যোগে তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। চীন থেকে আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ৩০১ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৫ জন শিশু রয়েছে বলেও জানান তিনি। গত শুক্রবার বিশেষ বিমান যোগে বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরত আনার অনুমতি দেয় চীনের বিমান কর্তৃপক্ষ। ওইদিন (শুক্রবার) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ঢাকা বিমানবন্দরে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ফেরত আসতে যাওয়া কোনো বাংলাদেশি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলে চীন সরকার নিশ্চিত করেছে।

তবে উহান থেকে ফেরত আসাদের পর্যবেক্ষণ করার জন্য আশকোনা হজ ক্যাম্পে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাখা হবে বলেও জানান তিনি। বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, চীনে মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে ১১ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে হুবেই প্রবেশ ও তার রাজধানী উহানে। চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়ে ২৫৯ জনে। চীনের বাইরে এখনও কেউ মারা যায়নি।

মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ঠিক কীভাবে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে এবং এটি কতটা মারাত্মক, তা বোঝার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের মানুষদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং আমেরিকা, ফ্রান্স, জাপান, জার্মানি, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দেশে মানবদেহের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান