জাবিতে প্রশ্ন জালিয়াতির অভিযোগে জবির দুই শিক্ষার্থীসহ আটক ৩

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি)ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে জালিয়াত চক্রের দুই সদস্য ও তাদের গাড়ি চালককে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তুলে দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো, জুলকারনাইন বলেন, “সোমবার ভোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামন থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। তারা দুইজনই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী।”

জালিয়াত চক্রের সদস্যরা হলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক-ই- আতহার মিজবাহ। সে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক। সে ঠাকুরগাও জেলা ইসলামবাগ এলাকার মো. নূর ইসলাম সরকারের ছেলে।

সাকিব উল সাদাত একই বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। সে কুড়িগ্রামের উলিপুর থানার ধরনীবাড়ী গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে।

এ সময় তাদেরকে নিয়ে আসা গাড়ির চালককে আটক করা হয়েছে বলেও জানান প্রক্টর জুলকারনাইন।

তিনি বলেন, “চক্রের প্রলোভনে পড়া দুই ভর্তিচ্ছুর কাছে তারা ৪ লাখ ২০হাজার টাকা করে চায়। গোপালগঞ্জ থেকে আসা ভর্তিচ্ছু গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্রের মাধ্যমে এসেছে।”

প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান নীল বলেন, “আমার ভাগ্নে জালিয়াত চক্রের প্রলোভনে পড়ে। সে আমাকে বিষয়টি জানালে আমি প্রশাসনকে তা অবহিত করি। পরে আমার ভাগ্নের মাধ্যমে তাদেরকে ধরার জন্য সকালে চক্রের সাথে তাকে যেতে বলি।”

“তাদেরকে ধরার জন্য মেহেদী, নাঈম, রুমী, বিপ্লব ও হৃদয় সহ আরও অনেকে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকি। চক্রের সদস্যরা তাকে গাড়িতে ওঠানোর সময় আমরা তাদেরকে ধরে প্রশাসনের কাছে তুলে দেই।”

জালিয়াতির বিষয় স্বীকার করে আটককৃতরা বলেন, “আমরা কোন প্রশ্নপত্র আনিনি। জাকির ও জিসান আমাদেরকে হাতে লেখা প্রশ্নের সাজেশন্স পাঠিয়েছে। আমরা তাদেরকে পড়াতে আসছিলাম।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদিপ্ত শাহীন বলেন, “নীল রাতে আমাকে বিষয়টি জানিয়ে তাদেরকে ধরতে সাহায্য চায়। সকালে তারা ওই চক্রকে ধরে আমাদের কাছে দেয়। আমরা তাদের কাছে ১৪ লাখ টাকার একটি চেক পাই। সাথে সরকারী চাকরীর একটি প্রবেশপত্রও তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায়।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, “আমরা সন্ধ্যায় তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে সপোর্দ করব। তবে তাদের কাছে পাওয়া প্রশ্নের সাথে আমাদের প্রশ্নের কোন মিল পাওয়া যায় নি।”

আজকের বাজার/এমএইচ