জুমার দিনের ৭ আমল

A Malaysian Muslim boy reads a copy of the Koran at his school's mosque during the holy fasting month of Ramadan in Bentong, outside Kuala Lumpur on June 15, 2016. Islam's holy month of Ramadan is celebrated by Muslims worldwide marked by fasting, abstaining from foods, sex and smoking from dawn to dusk for soul cleansing and strengthening the spiritual bond between them and the Almighty. / AFP PHOTO / MOHD RASFAN

মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেসব বিশেষ দিন দিয়েছেন তার মধ্যে শুক্রবার বা জুম্মার দিন খুবই তাৎর্যপূর্ণ। এদিনকে ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করা হয়েছে। জুমার নামাজের ফজিলতও অনেক। তবে এদিনে রয়েছে বিশেষ কিছু আমল। যা সওয়াব হলো অর্জন ও গুনাহ মাফের জন্য বড় ভূমিকা পালন করে।

কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দ্বারা এই দিনের মর্যাদার কথা জানা যায়। রাসুল সা. বলেন, ‘নিঃসন্দেহে জুমার দিন সেরা দিন ও আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম দিন। আল্লাহর কাছে তা ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়েও উত্তম।’ ইবনে মাজাহ

অন্য হাদিসে আছে, ‘যেসব দিনে সূর্য উদিত হয়েছে এরমধ্যে সর্বোত্তম হলো জুমার দিন।’ জুমার দিনকে মুসলমানদের ঈদের দিন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

জুমার ফজিলত সম্পর্কে রাসুল সা. বলেছেন, ‘এক জুমা থেকে অপর জুমা উভয়ের মাঝের (গোনাহের জন্য) কাফ্ফারা হয়ে যায়, যদি কবিরা গোনাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়ে থাকে। মুসলিম

রাসুল সা. অন্য হাদিসে বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন ভালো করে গোসল করে সকাল সকাল মসজিদে আসবে এবং ইমামের নিকটবর্তী হবে এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনবে ও চুপ থাকবে তার জুমার সালাতে আসার প্রত্যেক পদক্ষেপে এক বছরের নামাজ ও রোজা পালনের সওয়াব হবে।’ তিরমিজি

জুমার দিনের কিছু আমল

১। জুমার দিন গোসল করা। যাদের ওপর ফরজ তাদের জন্য এ দিনে গোসল করাকে রাসুল সা. ওয়াজিব বলেছেন।

২। জুমার নামাজের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা।

৩। মিস্ওয়াক করা।

৪। উত্তম পোশাক পরিধান করে সাধ্যমতো সাজসজ্জা করা।

৫। মুসল্লিদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা।

৬। মনোযোগ সহকারে খুত্‍বা শোনা এবং খুত্‍বা চলাকালীন চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব।

৭। পায়ে হেঁটে  সবার আগে মসজিদে যাওয়া।

এ আমলগুলো ছাড়াও জুম্মার দিনে রয়েছে আরও বেশ কিছু আমল। যা পালন আত্মার পরিশুদ্ধিসহ জুম্মার নামাজকে  আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে।

আরএম/