জয়পুরহাটে কোয়ারেন্টাইনে ১২২৬ জন

আজ সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ২১৩ জনসহ জেলায় ১ হাজার ২২৬ জনকে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এরমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১৫৪ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ৪৫ জন ও আইসোলেশনে ২৭ জন।

সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা জানান, জেলায় আরও ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এরমধ্যে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ৭ বছরের এক শিশুসহ কালাই উপজেলায় একজন ও আক্কেলপুর উপজেলায় একজন রয়েছে। জেলায় মোট ৩১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেল। কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ পর্যন্ত ৭৪৭ জনকে মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানান, করোনা সনাক্ত তিনজনেই ঢাকা থেকে সদর উপজেলা, কালাই ও আক্কেলপুর উপজেলার নিজ-নিজ বাড়িতে আসেন। স্থানীয় প্রশাসন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করে। এরমধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যাথা দেখা দিলে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ বৃহষ্পতিবার সকালে বগুড়া শজিমেক থেকে ৫৬ জনের পরিক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়। তার মধ্যে তিনজনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
উপজেলা ভিত্তিক করোনা সনাক্তের মধ্যে রয়েছে কালাই উপজেলায় ২৩ জন, আক্কেলপুর উপজেলায় তিনজন, ক্ষেতলাল উপজেলায় দুইজন, পাঁচবিবি উপজেলায় দুইজন, ও সদর উপজেলায় রয়েছে ৭ বছর বয়সের এক শিশু। করোনা আক্রান্ত শিশুটিকে পারিবারিকভাবে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসাসেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন চন্দ্র রায়। অন্য দুইজনকে রাতেই আক্কেলপুরের গোপিনাথপুর ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে স্থাপিত আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন পূর্বের করোনা সনাক্ত ২৮ জনের শারীরিক অবস্থার উন্নতির দিকে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

গত ১৭ এপ্রিল জয়পুরহাটের জেলায় প্রথম করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়। করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর থেকে জেলায় প্রশাসনের ঘোষিত লকডাউন চলছে ।