টটেনহ্যামের জালে সাত গোল দিল বায়ার্ন

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে সাত গোলে ভূপতিত গতবারের রানার্স টটেনহ্যাম হটস্পার। একাই ৪ গোল করলেন বায়ার্ন উইঙ্গার সার্জ ন্যাবরি, জোড়া গোল রবার্ট লেওয়ানদোস্কির। একটি গোল জোসুয়া কিমিচের।

ম্যাচের আগে স্বাভাবিকভাবেই এমন ফলাফল প্রত্যাশিত ছিল না ফুটবল অনুরাগীদের। তাছাড়া আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা শুরু হলেও ঘরের মাঠে এদিন প্রথমার্ধে আধিপত্য ছিল স্পারসেরই। ১২ মিনিটে টটেনহ্যামকে এগিয়ে দেওয়ার আগেও বারদু’য়েক বায়ার্ন গোলরক্ষক নুয়েরের পরীক্ষা নেন কোরিয়ান স্ট্রাইকার সন হিউং মিন। উল্টোদিকে সার্জ ন্যাবরির একটি দুরন্ত প্রয়াসও প্রতিহত হয় হুগো লরিসের গ্লাভসে। কিন্তু কোরিয়ান স্ট্রাইকারের এনে দেওয়া লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি স্পারস।

১৫ মিনিটে দূরপাল্লার দর্শনীয় শটে লরিসকে পরাস্ত করে বায়ার্নের হয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান জোসুয়া কিমিচ। এরপর ফের ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রথমার্ধ জুড়ে বিপক্ষ রক্ষণে একাধিকবার হানা দেন হ্যারি কেন-সন হিউংরা। কিন্তু স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় প্রথমার্ধে আর গোলের মুখ দেখেনি টটেনহ্যাম। প্রথমার্ধের শেষদিকে ম্যাচে প্রথমবারের জন্য এগিয়ে যায় জার্মান জায়ান্টরা। প্রথমার্ধের একেবারে সেষ সময়ে বক্সে জটলার মধ্যে থেকে বল পেয়ে হাফ টার্নে লরিসকে পরাস্ত করেন স্ট্রাইকার লেওয়ানদোস্কি।

প্রথমার্ধের শেষে দ্বিতীয় গোলের রেশ ধরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণে বিপক্ষ রক্ষণকে ফালা-ফালা করে দিতে থাকে বায়ার্ন আক্রমণভাগ। তিন মিনিটে জোড়া গোল করে হোম টিমকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন সার্জ ন্যাবরি। ৫৩ মিনিটে কার্যত একক দক্ষতায় স্পারস রক্ষণকে বোকা বানিয়ে দলকে তৃতীয় গোল এনে দেন জার্মান উইঙ্গার। এরপর ৫৫ মিনিটে তোলিসর পাস থেকে ন্যাবরির বাঁ-পায়ের কোনাকুনি শট লরিসের নাগাল এড়িয়ে খুঁজে নেয় গোলের ঠিকানা। ৬১ মিনিটে কিংসলে কোমান নিজেদের বক্সে ভুল করে বসলে লাইফলাইন পায় টটেনহ্যাম। তবে পেনাল্টি থেকে হ্যারি কেন ব্যবধান কমালেও তা একেবারেই পর্যাপ্ত ছিল না লন্ডনের ক্লাবটির জন্য।

কারণ ২-৪ গোলে পিছিয়ে থাকা স্পারস শেষ দশ মিনিটে হজম করে বসে আরও তিনটি গোল। ৮৩ মিনিটে থিয়াগো আলকান্তারার বাড়ানো লম্বা বল ধরে অবলীলায় দুই বিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাঁধে নিয়ে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন ন্যাবরি। এরপর ৮৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে ষষ্ঠ গোলটি লেওয়ানদোস্কির। বিপক্ষ ডিফেন্ডারের মিস পাসের সুযোগ নিয়ে একটি দলগত আক্রমণকে গোলের রূপ দেন পোলিশ স্ট্রাইকার। খেলা শেষের এক মিনিট আগে বক্সের সামান্য বাইরে থেকে জোরালো শটে নিজের চতুর্থ গোল ও দলের সাত গোলের বৃত্ত সম্পূর্ণ করেন ন্যাবরি।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান