টালমাটাল পরিস্থিতির পরও রিজার্ভ ভালো অবস্থায় আছে : অর্থমন্ত্রী

অর্থনীতির প্রাণ হচ্ছে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ, সেদিক থেকে বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেছেন,‘নিট বা গ্রস উভয় হিসাবেই বাংলাদেশ ভালো অবস্থায় আছে। এত টালমাটাল পরিস্থিতির পরও দেশের রিজার্ভ ২৫-২৬ বিলিয়ন ডলার। এ বছর আমরা তা কোনোভাবেই ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামতে দেব না। এটা সম্ভব।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ব্যাংকের সুদহার বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘সুদহার আগের পর্যায়ে রেখে দিলে এখন তা ২২-২৪ শতাংশে উঠে যেত। তাতে আমাদের অর্থনীতি ও দেশের মানুষ হারিয়ে যেত, কিন্তু আমরা তা হতে দিইনি।’

কিন্তু সুদহার আবার বাড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সুদহার বাড়ছে, তা ঠিক। বাজার যদি তা নিতে পারে, তাহলে কেন বাড়বে না? কিন্তু সুদহার যখন বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, সে সময় ছোট, মাঝারি, এমনকি বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে বেশি সুদ দেওয়া সম্ভব ছিল না।এরপর খেলাপি ঋণ বেড়ে গেলে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়ে আমরা তা বাড়তে দিইনি। কিছু ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে বলে পত্রিকা থেকে জেনেছি, তা থাকবে না।’
দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির বিষয়ে তিনি বলেন,‘দেশের অর্থনীতিতে এখনো অনেক অনাবিষ্কৃত খাত আছে, এগিয়ে যেতে হলে আমাদের সেগুলো কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশকে আরও অনেক দূর যেতে হবে, সেটা সম্ভব।’
তখন এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, যথাযথ নীতি প্রণয়ন করা না হলে তা কীভাবে সম্ভব; কারণ, নতুন খাত আবিষ্কার করতে যথাযথ নীতির বিকল্প নেই। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা ঠিক। আমরা সঠিক নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চাই।’

মূল্যস্ফীতির হার বাড়তি কেন, এই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি অর্থনীতির জন্য জরুরি। যাঁরা অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা করেন না, তাঁরা মূল্যস্ফীতি না চাইতে পারেন।
নতুন সরকারের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ কী হতে পারে, সেই প্রশ্নের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা নতুন সরকার জানে। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি। অর্থনীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) রিজার্ভের যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে,সেটা আমরা পূরণ করতে পারিনি।’ (বাসস)