ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির ধারণাসূচক ত্রুটিপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী

দুর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির ধারণাসূচক ত্রুটিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘একাদশ নির্বাচনের আগেও টিআইবি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, তা ছিল বিএনপির এজেন্ডা। বিএনপির অভিযোগের সঙ্গে তাদের প্রতিবেদনের ৮০ শতাংশ তখন মিল ছিল। ফলে তারা একটি বিশেষ দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়; এটা পরিস্কার।’

টিআইবির প্রকাশ করা দুর্নীতিসূচক নিয়ে প্রতিবেদন বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ– টিআইবি প্রকৃতপক্ষে যে পদ্ধতিতে দুর্নীতির এই ধারণাসূচক তৈরি করেছে, সেটি ত্রুটিপূর্ণ। কোন মেথডে তারা এটা করেছে তা তারা স্পষ্ট করেন নি। অর্থাৎ তাদের মেথোডোলজিই সমস্যাগ্রস্ত।

তিনি বলেন, আমরা যতদুর জানি টিআইবির এই দুর্নীতিসূচক নিরূপনের মেথোডলজি তথাকথিত কিছু বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ীর মতামত গ্রহণ করা এবং তাদের বিভিন্ন জায়গায় কিছু কমিটি আছে নানা নামে, সেই সমিতি বা কমিটির মাধ্যমে এসব তথ্যগুলো সংগ্রহ করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি টিআইবিকে অনুরোধ করবো আপনাদের কোনো সুনির্দিষ্ট বা কোনো অভিযোগ থাকলে তা দুদক ও সরকারকে জানান, সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এই প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, অবশ্যই। এটা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত।

বিএনপি সরকারে থাকতে তিনবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে; টিআইবি যখন এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল তখন আপনারা সেই প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন, এখন টিআইবির প্রতিবেদন প্রত্যাখান করছেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, তখন যথেষ্ট কারণ ছিল। তখন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। খালেদা জিয়া নিজে কালো টাকা সাদা করেছে। তার অর্থমন্ত্রী কালো টাকা সাদা করেছে। তখন যথেষ্ট কারণ ছিল। এখন কোন তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন করা হয়েছে, তার নির্দিষ্ট কোনো প্রামাণ নেই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। যেই শাসনামলে সরকারি দলের সংসদ সদস্যকে দুদক জিজ্ঞাসা করে এবং আদালতে দাঁড়ায়। যা বাংলাদেশে অতিতে কখনো হয়নি। যখন বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেছে বলে বিশ্ব দরবারে প্রশংসা হয়, যেই মহূর্তে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ নিয়ে প্রশংসা করে। ঠিক সেই মুহূর্তে টিআইবি তাদের ত্রুটিপূর্ণ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত পদ্ধতি দিয়ে দেশের মানুষকে হেয় করার জন্য চেষ্টা করছে।

টিআইবির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুদক ইতোমধ্যে তাদের প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা চেয়েছেন। আমি টিআইবিকে বলবো, আপনারা কোন তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন তা দুদকের কাছে বলুন। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ