ট্রাম্পের নতুন উপদেষ্টা বোল্টন

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে নিয়োগ পেলেন বোল্টন। রেমন্ড ম্যাকমাস্টারকে বরখাস্তের পর জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জন বোল্টনকে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প।

রিপাবলিকান নেতা জন বোল্টনকে হঠাৎ করে কেন ম্যাকমাস্টারের স্থালাভিষিক্ত করা হলো তা নিয়ে সমালোচনা চলছে। তবে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলছে, ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন ম্যাকমাস্টার। তার এমন অবস্থান ট্রাম্পের পছন্দ না হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

অন্যদিকে এ পদে কেন রিপাবলিকান নেতা জন বোল্টনকে আনা হয়েছে তার ব্যাখ্যায় ধারণা করা হচ্ছে, ইরান বিদ্বেষী মনোভাবের কারণে এ পদে আসীন হয়েছেন বোল্টন। কারণ বেশ কয়েক বছর ধরে ইরানের বিভিন্ন পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা এবং তাদের পরমাণু কর্মকাণ্ডের ঘোরবিরোধী বোল্টন।

এমনকী পরমাণু বিষয়ে সমোঝোতা চুক্তি হওয়ার আগ মুহূর্তে ২০১৩ সালে ইসরায়েলকে ইরানে হামলার পরামর্শ দিয়েছিলেন বোল্টন। এছাড়া ইরানের বিষয়ে তাকে কখনো নরম সুরে কথা বলতে শোনা যায়নি।

ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন বের হয়ে আসতে চাইছে তখন বোল্টনের মতো একজন ইরান বিদ্বেষী নেতা ট্রাম্পকে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করবে তা বলায় যায়।

এছাড়া সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মত পদে থাকা রেক্স টিলারসনকেও একই কারণে বরখাস্ত করেছেন ট্রাম্প। শুরু থেকেই যেভাবে প্রশাসনকে নিজের ইচ্ছায় রদবদল করছেন ট্রাম্প তাতে কখন কার পদ হারাবে তা সঠিক করে বলা যায় না।

তবে ট্রাম্পের ঔদ্ধত্যে মতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারলেই পদ খোয়াতে হবে না- এমন নীতিই হোয়াইট হাউসে চলছে বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

এমআর/