ট্রেনে কক্সবাজার: ৩০ কোটি ডলার দেবে এডিবি

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণে বাংলাদেশকে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিতে যাচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। আগামী ২১ জুন বুধবার এ নিয়ে এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এক কর্মকর্তার বরাদ দিয়ে বাসস এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইআরডির ভারপ্রাপ্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম ও এডিবির কাউন্ট্রি ডিরেকটর কাজুহিকো হিগুচির নিজ নিজ পক্ষে এই চুক্তিতে সই করার কথা রয়েছে। সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কোঅপারেশন (সাসেক) প্রকল্পের আওতায় এই ঋণ দেওয়া হবে।

বাসস জানায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলওয়ে নির্মাণে আলাদা আলাদা ২টি চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। ওই কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রাম থেকে রামু হয়ে রেললাইনটি কক্সবাজার দিয়ে মিয়ানমারের কাছে গুনধুম সীমান্তে পৌঁছবে। এই রেললাইন হবে ডুয়াল গেজের।

প্রকল্পটি পর্যটন শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হবে। প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে তৈরি হবে ঝিনুকের আদলে দৃষ্টিনন্দন একটি রেলওয়ে স্টেশন। এই স্থাপনা ঘিরে গড়ে উঠবে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় হোটেল, বাণিজ্যিক ভবন, বিপণিবিতান ও বহুতলবিশিষ্ট আবাসিক ভবন।

রেললাইনটি নির্মাণ হলে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ৬ ঘণ্টা; যেখানে বর্তমানে গাড়িতে যেতে লাগে ১০ ঘণ্টা বা তার বেশি। এমনকি কলকাতা থেকেও কেউ কক্সবাজার আসতে চাইলে সময় লাগবে ১৬ ঘণ্টার মতো।

তিনি আরও জানান, নতুন লাইন ট্রান্স-এশিয়ান রেল রুটের একটি অংশ; যার আওতায় বাংলাদেশ প্রতিবেশি চীন, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে সহজে যুক্ত হতে পারবে।

খবরে বলা হয়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্পকে সরকার অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে।

প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের দোহাজারী গ্রাম থেকে এই লাইন শুরু হবে। এরপর তা চান্দানাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া, চকোরিয়া, কক্সবাজার সদর, রামু ও উখিয়া- মোট ৭ উপজেলার মধ্য দিয়ে ঝিলংঝায় পৌঁছাবে।

উল্লেখ, রেলপথের মাধ্যমে ইউরোপকে এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে ট্রান্স এশিয়া রেলওয়ে নেটওয়ার্ক গড়ার এই পরিকল্পনা হাতে নেয় জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা এসক্যাপ।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ১৮ জুন ২০১৭