ডিজিটাল বাস টিকেট সিস্টেমের উদ্বোধন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে প্রথমবারের মত নগরবাসীর গণপরিবহনের যাতায়াতের সুবিধার্থে ডিজিটাল ‘র‌্যাপিড পাস’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।

বৃহস্পতিবার ৪ জানুয়ারি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বিআরটিসি কর্মকর্তা এবং যাত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। জাপানের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা জাইকার আর্থিক সহায়তায় ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন অথরিটি (ডিটিসিএ) এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা যে ব্যবস্থা করেছি সেটা হচ্ছে র‌্যাপিড পাস। এরজন্য বাসে উঠে আর টাকা বের করতে হবে না। কার্ডটা থাকলেই হবে।

ভবিষ্যতে এই কার্ডের মাধ্যমে জনগণ তাদের বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসসহ নানা ইউটিলিটি বিল দিতে পারবেন বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, উন্নত দেশের মত ভ্রমণ, শপিংসহ নানা সুযোগ সুবিধা জনগণ যেন কার্ডের মাধ্যমে পেতে পারে সে ব্যবস্থাও করা হবে।

তিনি প্রকল্পটিতে সহযোগিতার জন্য এবং বাংলাদেশে পরিচালিত সকল প্রকল্পের জন্য জাপান সরকার এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত জাপান সরকারের প্রতিনিধিকে ধন্যবাদ জানান।

প্রথমবারের মত ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে এ দিন যাত্রা শুরু করা বিআরটিসি’র মতিঝিল টু নবীনগরগামী যাত্রীদের সঙ্গে এ সময় প্রধানমন্ত্রী মত বিনিময় করেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সেনাবাহিনী প্রধান জেলারেল আবু বেলাল মুহম্মদ শফিউল হক এবং জাপান সরকারের প্রতিনিধি মাসাতো ওয়াতানাবে এ সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন। মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফেনী শহরের মহিপালে দেশের প্রথম ও একমাত্র সিক্স লেনের ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মহিপাল ফ্লাইওভার ছয় লেনের হলেও সেতুর নিচের দুই পাশে আরো চারটি সার্ভিস লেন চালু থাকবে। মোট লেন সংখ্যা হবে ১০টি। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ১৮১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে।

এই ফ্লাইওভারটি ফেনী হয়ে ঢাকা, কুমিল্লা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, পার্বত্য জেলাসমূহ, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট অঞ্চলে যাতায়াতকারী বিভিন্ন যানবাহন নিয়মিত যানজটের কবল থেকে মুক্তি পাবে, স্বস্তি পাবেন যাত্রীরাও।

এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল। এর মূল দৈর্ঘ্য ৬৬০ মিটার, প্রস্থ ২৪ দশমিক ৬২ মিটার, সার্ভিস রোডের দৈর্ঘ্য এক হাজার ৩৭০ মিটার, সার্ভিস রোডের প্রস্থ ৭ দশমিক ৫ মিটার, সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১৬০ মিটার, ১১টি স্প্যান, ফুটপাথের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ২১০ মিটার, পিসি গার্ডার ১৩২টি।

আজকের বাজার : এলকে / ৪ জানুয়ারি ২০১৮