‘ড্রিমার্স’দের নাগরিকত্বের জন্যে পথ তৈরির কথা বললেন ট্রাম্প

US President Donald Trump speaks following a briefing on Enhanced Narcotics Operations at the US Southern Command in Doral, Florida, on July 10, 2020. (Photo by SAUL LOEB / AFP)

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি খুব শিগগীরই অভিবাসন বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করবেন। এই আদেশে ‘ড্রিমার্স’ অর্থাৎ যারা শিশু বয়সে অবৈধভাবে আমেরিকায় এসেছিল তাদের জন্যে উপায়ও অন্তর্ভূক্ত থাকবে।
কিন্তু ট্রাম্পের এ বক্তব্যের পর পরই পিছু হটে হোয়াইট হাউস। সেখান থেকে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের সাথে অভিবাসন সংস্কার নিয়ে আলোচনায় এটি কেবল একটি সম্ভাবনা।
ট্রাম্প শুক্রবার টেলেমুন্ডু নোটিসিয়াসের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে বলেন, আমি একটি বড়ো ধরণের নির্বাহী আদেশ জারি করতে যাচ্ছি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই ক্ষমতা আমার আছে। আমি ডিএসিএকে এটির অংশ করতে যাচ্ছি।
ডিএসিএ(ডেফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড এরাইভালস) ২০১২ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে চালু করা হয়। এর আওতায় প্রায় ৭ লাখ লোক যারা শিশু বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল এবং যাদের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই তাদের বসবাস, কাজ ও পড়াশুনার অনুমোদন দেয়া হয়।
কিন্তু ২০১৭ সালে ট্রাম্প এই কমূর্সচি বাতিলের চেষ্টা করেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে তা আটকে যায়।
এদিকে ট্রাম্পের সাক্ষাতকারের কয়েকঘন্টার মধ্যে হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জাদ দেরে বলেন, প্রেসিডেন্টের ঘোষণা মতে, তিনি মার্কিন কর্মীদের আরো সুরক্ষার জন্যে যোগ্যতাভিত্তিক অভিবাসন নীতি প্রতিষ্ঠার জন্যে একটি নির্বাহী আদেশ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, অধিকন্তু, প্রেসিডেন্ট দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছিলেন যে তিনি কংগ্রেসের সাথে আলোচিত ডিএসিএ’র আইনসম্মত সমাধানের বিষয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক যাতে শক্তিশালী সীমান্ত নিরাপত্তা এবং স্থায়ী যোগ্যতাভিত্তিক সংস্কারের পাশাপশি নাগরিকত্বও অর্ন্তভূক্ত থাকতে পারে।
তিনি আরো বলেন, দুর্ভ্যাজনকভাবে ডেমাক্রেটরা সকল প্রস্তাবই প্রত্যাখ্যান করছে। কারণ তারা সম্পূর্ণ উন্মুক্ত সীমানা ব্যতীত অন্য যে কোন কিছ্রুই বিরোধিতা করছে।