ড. ইউনূসের ৫ মামলা স্থগিতের আদেশ বহাল

শ্রম আদালতে করা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাঁচ মামলায় হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

সোমবার বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আলাদা পাঁচ আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেয়।

ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে অমিত দাসগুপ্ত।

গত বছরের ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এসব মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চাকরিচ্যুত তিন কর্মচারী। মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন- প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন।

মামলার বাদীরা হলেন- প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শাহ আলম ও সদস্য এমরানুল হক।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, শ্রমিক হিসেবে নিজেদের সংগঠিত করা ও নিজেদের কল্যাণের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন তারা। ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল ট্রেড ইউনিয়নটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য মহাপরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নে আবেদন করলে ৯ জুন তা প্রত্যাখ্যাত হয়। পরবর্তী সময়ে ইউনিয়ন গঠনের খবর জানার পর তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।

ইউনিয়ন গঠনের কারণে চাকরিচ্যুত করায় শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৯৫ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে। তাই বাদীরা শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশ শ্রম আইনের ৩১৩ ধারায় তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য এবং ইউনিয়ন গঠন ও তার কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য এ মামলা করেন।

এসব মামলায় জামিন নেয়ার পর মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস। গত ৪ মার্চ হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করে। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। সে আবেদনগুলো সোমবার নিষ্পত্তি করে আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।