ঢাকা-ওয়াশিংটন অংশীদারি সংলাপ আজ

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সপ্তম অংশীদারি সংলাপ আজ সোমবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে গুরুত্ব পাবে ব্যবসা বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা, রোহিঙ্গা সংকট সহ অন্যান্য আঞ্চলিক বিষয়াদি।

সংলাপে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড হ্যাল যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক ইস্যুতে ঢাকা চায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে সখ্য বাড়াতে।

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা এবং যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার বলেও তিনি জানান।

সরকারের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধির ইচ্ছা প্রকাশ করে সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে একটি চিঠি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দুটি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তির প্রস্তাব করেছে। সেগুলো হচ্ছে অ্যাকুজিশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং এগ্রিমেন্ট এবং জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট।

গত বছরের জুনে পম্পেও বাংলাদেশের জন্য চার কোটি ডলারের মেরিটাইম সিকিউরিটি ফান্ড দেয়ার কথা ঘোষণা করে এবং এটি ব্যবহারের কাজ এরইমধ্যে শুরু হয়েছে।

সরকারের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ, উত্তর কোরিয়া ও ইরানসহ অন্যান্য বিষয়েও সংলাপে দুই পক্ষ আলোচনা করবে।

গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে জানুয়ারিতে সরকার পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হককে ওয়াশিংটনে পাঠিয়েছিল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড হ্যালসহ অন্যান্য মার্কিন কর্মকর্তাসহ থিংক ট্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেন।

আজকের বাজার/এমএইচ