ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিক্স লেন ফ্লাইওভার আগামী বছর

ফেনীর মহিপালে দেশের প্রথম ও একমাত্র সিক্স লেন ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে অথবা ২০১৮ সালের শুরুর দিকে শেষ হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। খবর: বাসস।

খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটির কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেড। ফ্লাইওভারটি যত দ্রুত চালু হলে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীদের ভোগান্তি যেমন কমবে, তেমন সময়ও অনেক সাশ্রয় হবে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, বিশাল এই ফ্লাইওভারটি ক্রমেই আপন মহিমায় দৃশ্যমান হচ্ছে উঠছে। দু’টি ক্রেন গার্ডার দিয়ে উপরি ভাগের ভীমের কাজ চলছে। শ্রমিকরাও যার-যার মত রাত-দিন এক করে কাজ করে চলছেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর সঙ্গে যোগাযোগের মাঝামাঝি এলাকা ফেনীর মহিপালে ২০১৫ সালে শুরু হয় ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। এজন্য মহাসড়কের চাঁড়িপুর রাস্তার মাথা সংলগ্ন স্থানে সেনাবাহিনীর নিজস্ব ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। তেমুহানী জননী রাইস মিল ও ইউনিয়ন পরিষদের পাশে দু’টি স্থানে নির্মাণ সামগ্রী রাখা ও প্রকল্পের নির্মাণ সামগ্রী সেখান থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, ৬৫০ জন শ্রমিক দিন-রাত এখানে কাজ করে যাচ্ছেন। মহিপালের প্রবেশপথ চাঁড়িপুর রাস্তার মাথা থেকে মহাসড়কের ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে এই ফ্লাইওভার।

ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী ফ্লাইওভারের মূল কাঠামোর দৈর্ঘ্য ৩৭০ মিটার। এ ছাড়াও আঞ্চলিক মহাসড়কের গাড়ি পারাপারের জন্য ১৪৫ মিটারের দু’টি র‌্যাম্পের কাজ শুরু হবে।

ইতিমধ্যে মূল কাঠামোর ২০টি পিলারের সবগুলো নির্মিত হয়েছে। ১৩২টি গার্ডারের মধ্যে ১৮টি বসানো হয়েছে। আরো ২৬টি গার্ডার তৈরি রয়েছে। গার্ডার স্থাপনে একশ’ টন ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি ও ৩৫ টন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি হাইড্রোলিক ক্রেন কাজ করছে। পিয়ার ক্যাপ ১০টির মধ্যে ছয়টি শেষ হয়েছে। ৫০৬টি ক্রস গার্ডারের মধ্যে ৪৪টি স্থাপন হয়েছে। ফ্লাইওভারের দুই পাশে দুই হাজার ২১০মিটার ড্রেনের মধ্যে এক হাজার দুইশ’ মিটার কাজ শেষ হয়েছে।

এ ছাড়া ফ্লাইওভারের নিচে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এক হাজার ৩২০মিটারের দুটি রাস্তাতেও নতুন করে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। সড়ক দু’টি ঢাকা ও চট্টগ্রাম অভিমুখী গাড়ি চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন ফেনী প্রকল্প কার্যালয়ের এসডাব্লিউও কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানান, ২০১৮ সালের জুন মাসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ের আগে চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ এই কাজ শেষ হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।

আজকের বাজার: আরআর/ ০৫ আগস্ট ২০১৭