ঢাবির ৩৫ ছাত্রকে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের মারধর

কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিরোধীতা করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ডের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ও গেস্টরুমে দেরি করে উপস্থিত হওয়ায় মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩৫জন ছাত্রকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা।

বুধবার (২৩ মে) দিবাগত রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ লিমনের অনুসারীরা এই ঘটনা ঘটায়।

হল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদের এক বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লিমন ওই কর্মসূচিতে তার অনুসারীদের যাওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রথম বর্ষের কম সংখ্যক অনুসারী ওই কর্মসূচিতে হাজির হন। ওই ঘটনায় রাত ১১টায় হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা হল সাধারণ সম্পাদক লিমনের নির্দেশনা ছাড়াই হলের ২০৮ নম্বর গেস্টরুমে সবাইকে আহ্বান করেন। গেস্টরুমে প্রথম বর্ষের কয়েকজন ছাত্র দেরি করে উপস্থিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা উপস্থিত প্রায় ৩৫ জনকে এলোপাতাড়ি লাথি, কিল, ঘুষি মারতে থাকেন।

মুনতাসির, স্মরণ, মাহিন, ইসতিয়াক, আলআমিন, সজীব, সাকিনদের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী প্রথম বর্ষের ছাত্রদের থেমে থেমে প্রায় দেড় ঘণ্টা যাবৎ মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মারধরের কথা স্বীকার করেছেন।

মারধরকারী ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মুনতাসির ও পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের স্মরণ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লিমন সাংবাদিকদের সামনে মারধর করার কথা স্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ লিমন বলেন, রমজান মাসে গেস্টরুম করার নির্দেশ ছিল না। ছাত্রদের মারধর করা ঠিক না। আমি এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিব।

আজকের বাজার/ এমএইচ