তামাক দ্রব্যের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে: স্পিকার

তামাকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। জনসাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণয়ন করেছে। এছাড়াও এসডিজি’র ৩ নম্বর লক্ষ্য অর্জনে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) বাস্তবায়নকে একটি টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করেছে।

স্পিকার বলেন, প্রথাগত তামাকজাত দ্রব্যের পাশাপাশি সম্প্রতি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ই- স্মোকিং এর প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে তামাক দ্রব্যের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

সরকার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে- যা তামাক বিরোধী প্রচারণায় ব্যয় হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এ সময় প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মধ্যে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক রুমানা হক, সৈয়দ মাহবুবুল আলম, তামাক বিরোধী সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিখিল ভদ্র, সৈয়দা অনন্যা রহমান, সৈয়দ সাইফুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরজেড/