তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে ৪৮ অভিবাসী নিহত

তিউনিসিয়ার উপকূলে অভিবাসীবোঝাই একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা রোববার জানিয়েছেন, এ ঘটনায় আরও ৬৭ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি অভিবাসীবোঝাই নৌকাডুবির সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। খবর রয়টার্সের।

তিউনিসিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোববার রাতে পর্যটকদের পছন্দ দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরকেন্না দ্বীপে কাছে ওই নৌকাটি ডুবে যায়।

তারা জানাচ্ছে, হতাহতের মধ্যে তিউনিসিয়া ও অন্যান্য দেশের নাগরিক রয়েছেন। তবে তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানায়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, রোববার উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয় এবং আজ সোমবার আবার সেটি শুরু হবে।

লিবিয়ার কোস্টগার্ড সশস্ত্র গ্রুপগুলোর সহায়তায় দেশটির উপকূলে কড়াকড়ির পর মানব পাচারকারীরা তিউনিসিয়াকে ইউরোপে পাড়ি জমানোর রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই নৌকায় প্রায় ১৮০ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ছিলেন। যাদের মধ্যে আফ্রিকার আরও বিভিন্ন দেশের নাগরিক ছিল।

একজন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি বলেন, নৌকাটি ডুবে যেতে শুরু করলে কোস্টগার্ডের কাছে আটক হওয়ার ভয়ে সেটির নাবিক পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, আমি একটি কাঠের টুকরো ধরে নয় ঘণ্টা ভেসে ছিলাম। বেকার তিউনিসিয়ান এবং অন্যান্য আফ্রিকার দেশের মানুষ প্রায়ই তিউনিসিয়া থেকে ইতালির সিসিলিতে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করে।

গেলো ২০১১ সালে স্বৈরশাসক জাইন আল-আবেদিন বিন আলিকে উৎখাতের পর থেকেই উত্তর আফ্রিকার দেশটির অর্থনীতি চরম সংকটে পড়েছে। সেখানে বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

আজকের বাজার/ এমএইচ