তিন সিটিসহ জাতীয় নির্বাচনে সুজনের ৮ দফা সুপারিশ

রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে প্রচার ১০-২৮ জুলাই

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনও খুলনা মডেল ছিল বলে জানিয়ে, আসন্ন বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনসহ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে আট দফা সুপারিশ করেছে বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন।

বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনির মিলনায়তনে ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কেমন জনপ্রতিনিধি পেলাম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সুজন কর্মকর্তারা এ সুপারিশ করেন।

সংস্থাটির মতে, খুলনা মডেল মূলত ‘নিয়ন্ত্রিত’ নির্বাচনের মডেল। এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় প্রধান প্রতিপক্ষকে মাঠ ছাড়া করা হয়।

আর নির্বাচনের দিন বিএনপি প্রার্থীর পুলিং এজেন্টকে দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টির পাশাপাশি জোর জবরদস্তি করা হলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বিকার ভূমিকায় থাকে।

এতে ভবিষ্যতের তিন সিটি নির্বাচনসহ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে আট দফা সুপারিশ করেছে সুজন। সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, খুলনা ও গাজীপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করে নির্বাচন কমিশনকে জনমনে আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। অন্যথায় একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতিগতভাবে আমরা নতুন সংকটের মুখোমুখি হতে পারি, যা দেশকে একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিতে ধাবিত করতে পারে।

সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, আমাদের প্রত্যাশা- নির্বাচন কমিশন, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই তাদের চিহ্নিত ত্রুটিগুলো সংশোধন করবে। এবং আগামী নির্বাচনগুলো অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ তথা স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করবে।

সংবাদ সম্মেলনে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার গাজীপুর নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের তথ্যের বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।

দিলীপ কুমার সরকার বলেন, খুলনা মডেল বাস্তবায়ন করা ছাড়াও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ব্যাপক নির্বাচনি প্রস্তুতিও তার জয়ের পেছনে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। কেননা আগে থেকেই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাপক নির্বাচনি প্রস্তুতি ছিল। একজন তরুণ প্রার্থী হিসেবে সবগুলো এলাকা চষে বেরিয়েছেন। অন্যদিকে নির্বাচনের আগে, বিশেষ করে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রচারণার সময় বেশিরভাগ এলাকায় বিএনপির কর্মী স্বল্পতা এবং প্রচারণার ক্ষেত্রে ব্যাপক ঘাটটি দেখা গেছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ড. হামিদা হোসেন অন্যান্য কেন্দ্রীয় সদস্যরা।

আজকের বাজার/এমএইচ