ত্রাণ নিয়ে যেতে পুলিশি বাধার অভিযোগ বিএনপির

রোহিঙ্গাদের জন্য নেয়া ত্রাণের গাড়িবহর পুলিশ কক্সবাজারে আটকে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। কক্সবাজার জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে উখিয়ার দিকে ত্রাণবাহী ২২টি ট্রাক নিয়ে যাওয়ার পথে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। যে কারণে উখিয়ায় যেতে পারেনি বিএনপির প্রতিনিধি দল।

১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে ত্রাণবাহী ট্রাক বের হতে পারেনি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন বিএনপির প্রতিনিধিদলের আহবায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম ট্রাক আটকে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘ত্রাণবাহী ট্রাক কক্সবাজার জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশ আটকে দেয়। এখন পুলিশি বাধার মুখে ট্রাকগুলো বিএনপি কার্যালয়েই আছে।’

ত্রাণবাহী ট্রাকে রোহিঙ্গাদের জন্য চাল, ডাল, চিড়া,চিনি, তেল,খাবার পানি, ঘরের ওপরে ছাউনি দেয়ার পলিথিন ছিল।

বিএনপির প্রতিনিধি দলের সদস্য কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান ‍দুদু বলেন, ‘ত্রাণ নিয়ে রওনা দেয়ার পর পুলিশ আটকে দেয়। পরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আমরা সংবাদ সম্মেলন করে বের হওয়ার সময় কার্যালয়ের ডান ও বাম পাশের রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। পরে সাবেক এমপি কাজলের বাসায় আমরা ঘণ্টাখানেক অবস্থান করে সোয়া ৫টার দিকে বের হয়ে হোটেলে এসেছি। বাধার কারণে আজকে আর ত্রাণ দিতে যাওয়া সম্ভব হয়নি। রাতে বসে নেতৃবৃন্দ করণীয় ঠিক করবেন।’

এদিকে বুধবার সকাল থেকে ২৪ জন চিকিৎসক নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের পাশে মেডিকেল ক্যাম্প শুরু করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব)।

সংগঠনটির মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ঢাকা এবং কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বান্দরবনের মোট ২৪ জন চিকিৎসক রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। আমরা অন্তত সপ্তাহখানেক কর্মসূচি চালানোর চিন্তা করছি।’

কোন ধরনের রোগী বেশি পাচ্ছেন, কত মানুষকে সেবা দিতে পেরেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে শিশুদের বেশি সমস্যায় আক্রান্ত অবস্থায় পাচ্ছি। জ্বর, নিউমেনিয়া, ডায়েরিয়া ও সর্দি-কাঁশিতে মানুষ বেশি আক্রান্ত। আমরা সবাইকে ওষুধপত্র দিচ্ছি। প্রথম দিনে প্রায় পাঁচ হাজারের মতো রোহিঙ্গাকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি।’

আজকের বাজার : এলকে/এলকে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭