দলকে বাঁচাতে সব দায়িত্বই মেসির কাঁধে

চাপের মুখে থাকা দলকে বাঁচাতে সব দায়িত্বই যেন নিজের কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন সেরা তারকা লিওনেল মেসি।

তবে মূলত ফুটবলকে বলা হয় কোচের খেলা। রণপরিকল্পনা থেকে শুরু করে খেলোয়াড় বাছাই, সবকিছুতেই থাকে কোচের একচ্ছত্র আধিপত্য। কিন্তু আর্জেন্টিনা দলে বোধ হয় সেই আধিপত্যটা হারিয়ে ফেলেছেন হোর্হে সাম্পাওলি।

নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে খেলোয়াড় বদলের সময়ও বার্সা তারকার অনুমতি নিতে দেখা গেছে সাম্পাওলিকে।

ক্রোয়েশিয়ার সাথে হারে লজ্জার পর একাদশে বড় ধরনের পরিবর্তন আনে আর্জেন্টিনা। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে তারা পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। আগের ম্যাচে বড় ভুল করা গোলরক্ষক উইলি কাবায়েরোর পরিবর্তে অভিষেক হয় ফ্রাঙ্কো আরমানির। এছাড়া গঞ্জালো হিগুয়েনও শুরুর একাদশে ছিলেন।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের সময় সার্জিও আগুয়েরোকে বদলি হিসেবে নামাবেন কি-না, সেটার জন্য মেসির অনুমতি নিতে দেখা যায় কোচ সাম্পাওলিকে। সে সময় ১-১ গোলে সমতা নিয়ে বাদ পড়ার শঙ্কায় ছিল আর্জেন্টিনা। সাম্পাওলিকে মেসির দিকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘আমি কি কানকে (আগুয়েরো) নামাব?’

সাম্পাওলির সঙ্গে খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্ব চলছে, এমন খবর চাউর হয় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ৩-০ গোলের হারের পর। মেসিরা নাকি সাম্পাওলিকে আর কোচ দেখতে চান না, এমনও শোনা গেছে। তবে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ডাগআউটে দেখা গেছে চিলির সাবেক এই কোচকেই। যদিও এই ম্যাচে তার কতটা প্রভাব ছিল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এখন।

মেসির জবাব ইতিবাচকই ছিল। ফলে লেফট-ব্যাক নিকোলাস তালিয়াফিকোর পরিবর্তে নামানো হয় স্ট্রাইকার আগুয়েরোকে। এই বদলির পরই বাঁদিকে সরে যান মার্কাস রোহো, যার পা থেকেই এসেছে জয়সূচক গোলটি।

এখানেই শেষ নয়। সাধারণত খেলার মধ্য বিরতিতে দলকে উজ্জীবিত করতে দেখা যায় কোচকে। তবে মঙ্গলবার রাতে এই সময় খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে মেসিকে। ততক্ষণে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর জন্য ডাগআউটে চলে গেছেন সাম্পাওলি। সব ভার মেসির ওপর দিয়ে!